Table of Contents
মানুষ মুহাম্মদ সাঃ গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
লেখক সম্পর্কে জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
১। মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী কখন জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: তিনি ১৮৯৬ সালে (২৯শে ভাদ্র ১৩০৩ বঙ্গাব্দ) জন্মগ্রহণ করেন।
২। মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলীর জন্মস্থান কোথায়?
উত্তর: সাতক্ষীরা জেলার বাঁশদহ গ্রামে।
৩। মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী কোথায় পড়াশোনা করেন?
উত্তর: কলকাতার বঙ্গবাসী কলেজে।
৪। তিনি কোন শ্রেণির ছাত্র ছিলেন যখন লেখাপড়া শেষ করেন?
উত্তর: বি.এ. ক্লাসের ছাত্র ছিলেন।
৫। কোন আন্দোলনে অংশ নিয়ে তিনি পড়াশোনা ছেড়ে দেন?
উত্তর: অসহযোগ আন্দোলনে অংশ নিয়ে।
৬। মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী পরবর্তীতে কোন পেশা গ্রহণ করেন?
উত্তর: তিনি সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন।
৭। মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী কোন মাসিক পত্রিকায় কাজ করেন?
উত্তর: মাসিক মোহাম্মাদী।
৮। তিনি কোন দৈনিক পত্রিকায় কাজ করেছেন?
উত্তর: দৈনিক মোহাম্মাদী ও দৈনিক সেবক।
৯। তিনি কোন সাপ্তাহিক পত্রিকায় কাজ করেন?
উত্তর: সাপ্তাহিক সওগাত।
১০। মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী কোন ইংরেজি পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন?
উত্তর: দি মুসলমান।
১১। ‘মানুষ মুহম্মদ (স)’ প্রবন্ধটি কোন গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?
উত্তর: মরুভাস্কর গ্রন্থ থেকে।
১২। মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী কবে কলকাতা ছেড়ে বাঁশদহে ফিরে আসেন?
উত্তর: ১৯৩৫ সালে।
১৩। মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী কবে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: ১৯৫৪ সালের ৮ই নভেম্বর।
গল্প সম্পর্কে জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
১৪। ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ রচনাটি কোন গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?
উত্তর: ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ রচনাটি ‘মরুভাস্কর’ গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।
১৫। হজরতের মৃত্যুর পর মদিনার অবস্থা কেমন হয়েছিল?
উত্তর: হজরতের মৃত্যুর পর মদিনায় আঁধার ঘনিয়ে এসেছিল, সবাই স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল।
১৬। হজরতের মৃত্যুর কথা শুনে হজরত ওমর (রা.) কী করেছিলেন?
উত্তর: তিনি উলঙ্গ তরবারি হাতে লাফিয়ে উঠে বলেন, হজরত মরেননি, কেউ বললে তার মাথা কেটে ফেলবেন।
১৭। কার বক্তব্যে জনতার চৈতন্য ফিরে আসে?
উত্তর: হজরত আবুবকর (রা.)-এর বক্তব্যে।
১৮। হজরত আবুবকর (রা.) কী বলেছিলেন?
উত্তর: তিনি বলেন, হজরত মানুষ, তিনি মারা গেছেন; আল্লাহ অমর।
১৯। আবুবকর (রা.) কুরআনের কোন বাণী উদ্ধৃত করেন?
উত্তর: মুহম্মদ একজন রাসুল, তাঁর আগেও অনেক রাসুল মারা গেছেন।
২০। হজরত মুহম্মদ (স.) কোন বংশে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: মক্কার শ্রেষ্ঠ কুরাইশ বংশে।
২১। সকলের মহাযাত্রা কার দিকে?
উত্তর: সকলের মহাযাত্রা সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর দিকে।
২২। হজরত মুহম্মদ (স.) কে কী নামে ডাকা হতো?
উত্তর: আল-আমিন — বিশ্বস্ত নামে।
২৩। ‘তায়েফ’ কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: ‘তায়েফ’ সৌদি আরবের দক্ষিণে অবস্থিত।
২৪। উম্মে মা’বদ কে ছিলেন?
উত্তর: হিজরতের পথে যাঁর কুটিরে হজরত আশ্রয় নেন।
২৫। উম্মে মা’বদ কেমন বর্ণনা দেন হজরতের?
উত্তর: সুন্দর, সুদর্শন, মনোহর ও মধুভাষী।
২৬। মহানবি (স.) কোথায় সত্য প্রচার করতে গিয়ে বিপদে পড়েছিলেন?
উত্তর: মহানবি (স.) তায়েফে সত্য প্রচার করতে গিয়ে বিপদে পড়েছিলেন।
২৭। হজরতের চোখ কেমন ছিল?
উত্তর: কালো, ঢলঢলে, কাজলরেখার মতো।
২৮। সৌদি আরবের দক্ষিণাঞ্চলের উর্বর প্রদেশটির নাম কী?
উত্তর: সৌদি আরবের দক্ষিণাঞ্চলের উর্বর প্রদেশটির নাম তায়েফ।
২৯। হজরতের স্বভাব কেমন ছিল?
উত্তর: নম্র, বিনীত ও গম্ভীর।
৩০। হজরতের দেহ কেমন ছিল?
উত্তর: বলিষ্ঠ ও পৌরুষময়।
৩১। কার শিথিল অঙ্গ মাটিতে লুটাইল?
উত্তর: হজরত উমরের শিথিল অঙ্গ মাটিতে লুটাইল।
৩২। কুসুমকোমল কথাটি কাকে বোঝাতে বলা হয়েছে?
উত্তর: হজরত মুহম্মদ (স.) কে।
৩৩। বৈরীদের অত্যাচারে হজরত কী করতেন?
উত্তর: ধৈর্য ধারণ করে ক্ষমা করতেন।
৩৪। লোষ্ট্রাঘাত মানে কী?
উত্তর: ঢিল বা পাথরের আঘাত।
৩৫। হজরত কোথায় রক্তাক্ত হয়েছিলেন?
উত্তর: তায়েফে পাথরবৃষ্টিতে।
৩৬। ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা কে?
উত্তর: হজরত ওমর (রা.)।
৩৭। মক্কার পথে-প্রান্তরে কাদের প্রস্তর ঘায়ে তিনি আহত হয়েছিলেন?
উত্তর: মক্কার পথে-প্রান্তরে পৌত্তলিকদের প্রস্তর ঘায়ে তিনি আহত হয়েছিলেন।
৩৮। ‘তিনি দীর্ঘ নন, খর্ব নন, কৃশ নন’- উক্তিটি কার?
উত্তর: উক্তিটি আবু মা’বদ-এর স্ত্রী উম্মে মা’বদ-এর।
৩৯। বদর, ওহোদ, খন্দক কী?
উত্তর: হজরতের জীবনের প্রধান যুদ্ধক্ষেত্র।
৪০। হুদায়বিয়া সন্ধি কী ছিল?
উত্তর: একটি ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি।
৪১। হজরত মক্কা বিজয়ের পর কী বলেন শত্রুদের?
উত্তর: তোমরা সবাই মুক্ত, আমার কোনো অভিযোগ নেই।
৪২। হজরতের মক্কা বিজয়ের পরের ক্ষমাশীলতাকে কী বলা হয়েছে?
উত্তর: সুমহান প্রতিশোধ।
৪৩। ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে ‘স্থিতধী’ বলা হয়েছে কাকে?
উত্তর: ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে হজরত আবুবকর (রা.)-কে ‘স্থিতধী’ বলা হয়েছে।
৪৪। হজরত মুহম্মদ (স.) নিজেকে কী মনে করতেন?
উত্তর: সাধারণ মানুষের মতো একজন মানুষ।
৪৫। এক অন্ধকে দেখে হজরতের কেমন প্রতিক্রিয়া হয়েছিল?
উত্তর: সামান্য বিরক্ত হন।
৪৬। শেষ পর্যন্ত হজরত মুহম্মদ (স.)-এর মৃত্যুশয্যার পার্শ্বে কে ছিলেন?
উত্তর: শেষ পর্যন্ত হজরত মুহম্মদ (স.)-এর মৃত্যুশয্যার পার্শ্বে ছিলেন মহামতি আবুবকর (রা.)।
৪৭। হজরত দারিদ্র্যকে কেমনভাবে গ্রহণ করেছিলেন?
উত্তর: স্বেচ্ছায় ও গৌরব সহকারে।
৪৮। হজরতের গৃহে সবসময় কী ছিল না?
উত্তর: খাদ্য ও তেলের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস।
৪৯। মৃত্যুর সময় হজরতের অবস্থা কেমন ছিল?
উত্তর: সম্পূর্ণ নিঃস্ব, কাঙালের বেশে।
৫০। হজরত কী ধরনের শাসক ছিলেন?
উত্তর: ন্যায়পরায়ণ ও নির্লোভ।
৫১। হজরতের মৃত্যুর পর কে কাঁদছিলেন?
উত্তর: বিবি আয়েশা (রা.)।
৫২। হজরত নিজেকে কী বলতেন?
উত্তর: বলতেন, আমি রাজা নই, সম্রাট নই, আমি একজন সাধারণ মানুষ।
৫৩। হজরত মুহম্মদ (স.) কী ধরনের আহার করতেন?
উত্তর: সাধারণ শুষ্ক মাংস।
৫৪। আত্মদোষ স্বীকারে তিনি কেমন ছিলেন?
উত্তর: অকুতোভয় ও নিঃসংকোচ।
৫৫। হজরত কার জন্য সবকিছু ত্যাগ করেছিলেন?
উত্তর: বিশ্বমানবের কল্যাণের জন্য।
৫৬। হজরত মুহম্মদ (স.) কার প্রেরিত পুরুষ ছিলেন?
উত্তর: আল্লাহর প্রেরিত পুরুষ।
৫৭। কোথায় হজরত মুহম্মদ (স.) ভীষণ পরীক্ষার সম্মুখীন হন?
উত্তর: তায়েফে সত্য প্রচার করতে গিয়ে হজরত মুহম্মদ (স.) ভীষণ পরীক্ষার সম্মুখীন হন।
৫৮। কীসের সাধনায় হজরত মুহম্মদ (স.)-এর চরিত্র মধুময় হয়ে উঠেছিল?
উত্তর: সত্যের নিবিড় সাধনায়।
৫৯। কীসের গৌরব হযরতের সচেতন চিত্তে মুহূর্তের জন্যও স্থান লাভ করেনি?
উত্তর: বংশগৌরব হযরতের সচেতন চিত্তে মুহূর্তের জন্যও স্থান লাভ করেনি।
৬০। মহানবি হজরত মুহম্মদ (স.) সত্য প্রচারের ক্ষেত্রে কাদের কাছে উপহসিত হয়েছেন?
উত্তর: মহানবি হজরত মুহম্মদ (স.) পৌত্তলিকদের কাছে উপহসিত হয়েছেন।
৬১। হজরত মুহম্মদ (স.) মক্কা ছেড়ে কোথায় চলে যান?
উত্তর: মক্কাবাসীর অকথ্য অত্যাচারে মহান আল্লাহর নির্দেশে হজরত মুহম্মদ (স.) মক্কা ছেড়ে মদিনায় চলে যান।
শব্দার্থ সম্পর্কে জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
৬২। বীরবাহু কাকে বলা হয়েছে?
উত্তর: বীরবাহু বলা হয়েছে সাহসী ও শক্তিশালী ওমর (রা.)-কে।
৬৩। হজরত ওমর (রা.) ইসলামের কততম খলিফা ছিলেন?
উত্তর: তিনি ছিলেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা।
৬৪। হজরত ওমর (রা.) ইসলাম গ্রহণের আগে কী করতেন?
উত্তর: তিনি রাসুলুল্লাহ (স.)-কে হত্যা করার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন।
৬৫। তিনি কী শুনে ইসলাম গ্রহণ করেন?
উত্তর: তিনি ভগ্নীর কণ্ঠে কুরআনের বাণী শুনে ইসলাম গ্রহণ করেন।
৬৬। ‘স্থিতধী’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: স্থিতধী অর্থ স্থিরবুদ্ধিসম্পন্ন।
৬৭। ‘ধী’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ধী শব্দের অর্থ বুদ্ধি।
৬৮। ‘পুলকদীপ্তি’ অর্থ কী?
উত্তর: ‘পুলকদীপ্তি’ অর্থ আনন্দের উদ্ভাস।
৬৯। ‘রাসুল’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: রাসুল অর্থ আল্লাহর প্রেরিত পুরুষ।
৭০। ‘পরহিতব্রতী’ কাকে বলা হয়?
উত্তর: যিনি সবসময় অন্যের উপকারে থাকেন, তাকে পরহিতব্রতী বলা হয়।
৭১। ‘বয়ান’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: বয়ান অর্থ মুখের বাণী।
৭২। গ্রীবা শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: গ্রীবা শব্দের অর্থ ঘাড়।
৭৩। ‘অকুতোভয়’ কাকে বলা হয়?
উত্তর: অকুতোভয় বলা হয় যিনি নির্ভয়।
৭৪। ‘নির্যাতন’ মানে কী?
উত্তর: নির্যাতন মানে অত্যাচার বা জুলুম।
৭৫। ‘কুসুমকোমল’ কাকে বোঝায়?
উত্তর: কুসুমকোমল অর্থ ফুলের মতো নরম।
৭৬। ‘লোষ্ট্রাঘাত’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: লোষ্ট্রাঘাত অর্থ ঢিলের আঘাত।
৭৭। ‘বৈরী’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: বৈরী শব্দের অর্থ শত্রু।
৭৮। ‘অরাতি’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: অরাতি মানে শত্রু।
৭৯। ‘পৌত্তলিক’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: পৌত্তলিক অর্থ মূর্তিপূজক।
৮০। ‘তিতিয়া’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: তিতিয়া অর্থ ভিজে।
৮১। ‘সমাচ্ছন্ন’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: সমাচ্ছন্ন অর্থ অভিভূত বা ঢেকে যাওয়া।
৮২। ‘পূর্ণোদর’ মানে কী?
উত্তর: পূর্ণোদর মানে ভরপেট।
৮৩। হজরত আবু বকর (রা.) ইসলামের কততম খলিফা ছিলেন?
উত্তর: তিনি ছিলেন ইসলামের প্রথম খলিফা।
৮৪। হিজরতের সময় হজরত আবু বকর (রা.) কাকে সঙ্গী করেছিলেন?
উত্তর: তিনি রাসুলুল্লাহ (স.)-কে সঙ্গী করেছিলেন।
৮৫। মক্কা কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: মক্কা সৌদি আরবে অবস্থিত।
৮৬। ‘হিজরত’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: হিজরত শব্দের অর্থ পরিত্যাগ বা স্থানান্তর।
৮৭। হিজরি সাল কবে থেকে শুরু হয়?
উত্তর: মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত থেকেই হিজরি সাল শুরু হয়।
৮৮। হজরত খালিদ (রা.) কে ছিলেন?
উত্তর: তিনি ছিলেন ইসলামের বিখ্যাত সেনাপতি ও বীরযোদ্ধা।
৮৯। হজরত আয়েশা (রা.) কে ছিলেন?
উত্তর: তিনি ছিলেন হজরত আবু বকর (রা.)-এর কন্যা এবং রাসুলুল্লাহ (স.)-এর সহধর্মিণী।
আরও দেখুনঃ বই পড়া গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর