Table of Contents
বই পড়া গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন প্রমথ চৌধুরী
লেখক সম্পর্কে জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
১। প্রমথ চৌধুরী কবে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: ৭ই আগস্ট ১৮৬৮ সালে।
২। প্রমথ চৌধুরীর জন্মস্থান কোথায়?
উত্তর: যশোর।
৩। প্রমথ চৌধুরীর পৈতৃক নিবাস কোথায় ছিল?
উত্তর: পাবনা জেলার হরিপুর গ্রামে।
৪। ‘পদচারণ’ কার লেখা?
উত্তর: ‘পদচারণ’ প্রমথ চৌধুরীর লেখা।
৫। প্রমথ চৌধুরীর কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ. ডিগ্রি লাভ করেন?
উত্তর: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।
৬। কোন বিষয়ে প্রমথ চৌধুরীর এম.এ. পাশ করেন?
উত্তর: ইংরেজি সাহিত্য।
৭। প্রমথ চৌধুরীর কত সালে এম.এ. ডিগ্রি লাভ করেন?
উত্তর: ১৮৯০ খ্রিষ্টাব্দে।
৮। প্রমথ চৌধুরী ব্যারিস্টারি পড়তে কোথায় যান?
উত্তর: বিলাত।
৯। বিলাত থেকে ফিরে এসে কোন পেশায় যোগ দেননি তিনি?
উত্তর: ব্যারিস্টারি পেশা।
১০। প্রমথ চৌধুরী কিছুদিন কী কাজ করেন?
উত্তর: ইংরেজি সাহিত্যে অধ্যাপনা।
১১। প্রমথ চৌধুরীর সাহিত্যিক ছদ্মনাম কী ছিল?
উত্তর: বীরবল।
১২। প্রমথ চৌধুরী কোন পত্রিকা সম্পাদনা করতেন?
উত্তর: সবুজপত্র।
১৩। বাংলা সাহিত্যে নতুন গদ্যধারা সূচিত হয় কার নেতৃত্বে?
উত্তর: প্রমথ চৌধুরীর নেতৃত্বে।
১৪। ‘বই পড়া’ প্রবন্ধটি কোন গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?
উত্তর: প্রবন্ধ সংগ্রহ।
১৫। ‘বই পড়া’ প্রবন্ধটি কোথায় পাঠ করা হয়েছিল?
উত্তর: একটি লাইব্রেরির বার্ষিক সভায়।
১৬। প্রমথ চৌধুরী কবে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: ২রা সেপ্টেম্বর ১৯৪৬ সালে।
১৭। প্রমথ চৌধুরী কোথায় মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: কলকাতায়।
গল্প সম্পর্কে জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
১৮। ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের লেখক কে?
উত্তর: প্রমথ চৌধুরী।
১৯। ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে লেখক কোন শখকে সর্বশ্রেষ্ঠ শখ বলেছেন?
উত্তর: বই পড়া।
২০। লেখক বই পড়াকে শখ হিসেবে পরামর্শ দেন না কেন?
উত্তর: কারণ আমরা জাত হিসেবে শৌখিন নই এবং এখন শখ করার সময় নয়।
২১। শিক্ষার সর্বপ্রধান অঙ্গ কী?
উত্তর: শিক্ষার সর্বপ্রধান অঙ্গ হলো সাহিত্যচর্চা।
২২। শিক্ষক কীসের সন্ধান দিতে পারেন?
উত্তর: শিক্ষক মনোরাজ্যের ঐশ্বর্যের সন্ধান দিতে পারেন।
২৩। লেখক মনে করেন বর্তমানে আমাদের দেশের প্রধান সমস্যা কী?
উত্তর: সুন্দরভাবে জীবনধারণ।
২৪। সাহিত্যচর্চা শিক্ষার কোন অঙ্গ?
উত্তর: সর্বপ্রধান অঙ্গ।
২৫। সাহিত্যচর্চার ফলে কী হয়?
উত্তর: মানুষের মন উদার, সরল ও সচল হয়।
২৬। লেখক মতে, ডেমোক্রেসি কোন সার্থকতা বোঝে না?
উত্তর: সাহিত্যের সার্থকতা।
২৭। ডেমোক্রেসির গুরুরা কী চেয়েছিলেন?
উত্তর: সকলকে সমান করতে।
২৮। “ব্যাধিই সংক্রামক, স্বাস্থ্য নয়”—এই কথার অর্থ কী?
উত্তর: খারাপ দিক সহজে ছড়ায়, ভালো দিক নয়।
২৯। আজকের শিক্ষিত সমাজের প্রধান আকর্ষণ কী?
উত্তর: অর্থ।
৩০। জ্ঞানের ভাণ্ডার শূন্য থাকলে কী হয়?
উত্তর: জাতির ধনের ভাঁড়েও ভবানী।
৩১। মনকে সজীব রাখার ভার আজ কিসের উপর ন্যস্ত?
উত্তর: সাহিত্যের উপর।
৩২। যথার্থ গুরুর কাজ কী?
উত্তর: যথার্থ গুরুর কাজ শিষ্যের আত্মাকে উদ্বোধিত করা এবং তার অন্তর্নিহিত সকল প্রচ্ছন্ন শক্তিকে ব্যক্ত করে তোলা।
৩৩। সাহিত্যের পূর্ণ রূপ কোথায় পাওয়া যায়?
উত্তর: সাহিত্যে।
৩৪। সাহিত্যচর্চার জন্য কী দরকার?
উত্তর: লাইব্রেরি।
৩৫। পেশাদারদের মহাভ্রান্তি কী?
উত্তর: যে কথা জজে শোনে না, তার যে কোনো মূল্য নেই; এটাই হচ্ছে পেশাদারদের মহাভ্রান্তি।
৩৬। দর্শনের চর্চা কোথায় হয়?
উত্তর: দর্শনের চর্চা হয় গুহায়।
৩৭। লাইব্রেরিকে লেখক কিসের সাথে তুলনা করেছেন?
উত্তর: মনের হাসপাতাল।
৩৮। যথার্থ শিক্ষিত হতে হলে কী দরকার?
উত্তর: যথার্থ শিক্ষিত হতে চাইলে মনের প্রসারতা দরকার।
৩৯। সুশিক্ষিত লোক কেমন?
উত্তর: স্বশিক্ষিত।
৪০। শিক্ষক কী করতে পারেন?
উত্তর: ছাত্রের কৌতূহল জাগাতে ও পথ দেখাতে পারেন।
৪১। শিক্ষার্থীকেই কী করতে হয়?
উত্তর: বিদ্যার সাধনা।
৪২। মনের দাবি রক্ষা না-করলে কী বাঁচে না?
উত্তর: মনের দাবি রক্ষা না করলে মানুষের আত্মা বাঁচে না।
৪৩। কাব্যামৃতে আমাদের অরুচি ধরেছে কেন?
উত্তর: কাব্যামৃতে আমাদের অরুচি ধরেছে প্রচলিত শিক্ষার দোষে।
৪৪। স্কুল-কলেজে শিক্ষাদান কীভাবে হয়?
উত্তর: জোর করে নোট মুখস্থ করিয়ে।
৪৫। লেখক শিশুকে জোর করে দুধ খাওয়ানোর সাথে কী তুলনা করেছেন?
উত্তর: স্কুল-কলেজের শিক্ষা পদ্ধতির।
৪৬। লেখক কাকে দোষী করেন না?
উত্তর: শিশুকে না, তার মাকে।
৪৭। লেখকের মতে আত্মার মৃত্যু হয় কোথায়?
উত্তর: ভুল শিক্ষায়।
৪৮। মনের আক্ষেপ প্রকাশ করতে মাঝে মাঝে কী লাগাতে হয়?
উত্তর: মনের আক্ষেপ প্রকাশ করতে মাঝে মাঝে কড়ি লাগাতে হয়।
৪৯। শিক্ষকের সার্থকতা কোথায়?
উত্তর: শিক্ষকের সার্থকতা হচ্ছে ছাত্রকে শিক্ষা অর্জন করতে সক্ষম করায়।
৫০। ‘France was saved by her idlers’—এ কথার মানে কী?
উত্তর: যারা শিক্ষা পদ্ধতিকে অগ্রাহ্য করেছিল তারাই দেশকে রক্ষা করেছিল।
৫১। লেখকের মতে নোট মুখস্থ করে ছাত্ররা কী হয়?
উত্তর: বাজিকরের মতো বিদ্যা গিলে ফেলে কিন্তু হজম করতে পারে না।
৫২। পাঠ্যবইয়ের বাইরে কোন বই পড়া উচিত বলে লেখক মনে করেন?
উত্তর: সাহিত্য, জ্ঞান ও রুচি বাড়ানোর বই।
৫৩। সাহিত্যচর্চা কিসের বিকল্প নয়?
উত্তর: উদরপূর্তির।
৫৪। কেবল পেটের দায়ে বই পড়া মানে কী?
উত্তর: বাধ্য হয়ে পড়া, আনন্দহীন শিক্ষা।
৫৫। আত্মার দাবি রক্ষা না করলে কী হয়?
উত্তর: আত্মা বাঁচে না।
৫৬। কী ছাড়া সাহিত্যচর্চার উপায়ান্তর নেই?
উত্তর: বই পড়া ছাড়া সাহিত্যচর্চার উপায়ান্তর নেই।
৫৭। আনন্দ থেকে বঞ্চিত জাতি কেমন হয়?
উত্তর: নিরানন্দ ও নির্জীব।
৫৮। সাহিত্যচর্চা না থাকলে জাতির কী ক্ষতি হয়?
উত্তর: জীবনীশক্তির হ্রাস ঘটে।
৫৯। লেখকের মতে কাব্যামৃতে আমাদের অরুচি কেন?
উত্তর: কারণ আমাদের শিক্ষা পদ্ধতি ভ্রান্ত।
৬০। জাতীয় আত্মরক্ষার জন্য লেখক কী প্রস্তাব করেন?
উত্তর: বর্তমান শিক্ষার উলটো টান দিতে হবে।
৬১। লেখকের মতে দেশের লোক মুখে কী মানে, কিন্তু কাজে মানে না?
উত্তর: বই পড়া ভালো।
৬২। ‘কেতাবি’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: যারা বই পড়ে বা ধর্মীয় কেতাব অনুসরণ করে।
৬৩। সাহিত্যচর্চা দেশে কী অবস্থায় আছে?
উত্তর: প্রায় নেই বললেই চলে।
৬৪। বাধ্য হয়ে বই পড়ার ফল কী?
উত্তর: আনন্দহীনতা এবং মনস্তুষ্টির অভাব।
৬৫। মনকে জাগ্রত না রাখলে জাতির কী ক্ষতি হয়?
উত্তর: জাতির প্রাণ যথার্থ স্ফুর্তি লাভ করে না।
৬৬। আনন্দের স্পর্শে কী ঘটে?
উত্তর: মন সতেজ ও সরাগ হয়।
৬৭। সাহিত্যচর্চার আনন্দ কিসের সাথে সম্পর্কিত?
উত্তর: জাতির জীবনীশক্তি।
৬৮। লেখক সাহিত্যচর্চার পক্ষে কেন এত কথা বললেন?
উত্তর: জাতীয় আত্মরক্ষার জন্য।
৬৯। সাহিত্যচর্চার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হওয়ার অর্থ কী?
উত্তর: সাহিত্যচর্চার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হওয়ার অর্থ হলো জাতির জীবনীশক্তি হ্রাস করা।
৭০। শিক্ষা অর্জনে উত্তরসাধক মাত্র কে?
উত্তর: শিক্ষা অর্জনে গুরু উত্তরসাধক মাত্র।
৭১। বিজ্ঞানের চর্চা কোথায়?
উত্তর: বিজ্ঞানের চর্চা জাদুঘরে।
শব্দার্থ সম্পর্কে জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
৭২। ‘কেতাবি’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘কেতাবি’ অর্থ কেতাব অনুসরণ করে চলে যারা।
৭৩। শৌখিন শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: রুচিবান।
৭৪। উদ্বাহু শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ঊর্ধ্ববাহু, আহ্লাদে হাত ওঠানো।
৭৫। ডেমোক্রেসি শব্দের বাংলা অর্থ কী?
উত্তর: গণতন্ত্র।
৭৬। সন্দিহান শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: সন্দেহযুক্ত।
৭৭। সুসার শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: প্রাচুর্য, সচ্ছলতা, সুবিধা।
৭৮। জজ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: বিচারক।
৭৯। ভাঁড়েও ভবানী শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: রিক্ত, শূন্য।
৮০। আবহমানকাল শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: চিরকাল।
৮১। সোল্লাসে শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: আনন্দে।
৮২। অবগাহন শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: সর্বাঙ্গ ডুবিয়ে গোসল।
৮৩। উপায়ান্তর শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: অন্য কোনো উপায়।
৮৪। স্বশিক্ষিত শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: নিজে নিজে শিক্ষিত।
৮৫। প্রচ্ছন্ন শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: গোপন।
৮৬। জীর্ণ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: হজম।
৮৭। অব্যাহতি শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: মুক্তি।
৮৮। গতাসু শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: মৃত।
৮৯। গলাধঃকরণ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: গিলে ফেলা।
৯০। কারদানি শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: বাহাদুরি।
৯১। উদরপূর্তি শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: পেট ভরানো।