Skip to content

প্রত্যুপকার গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রত্যুপকার গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রত্যুপকার গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

লেখক সম্পর্কে জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

১। ‘প্রত্যুপকার’ রচনাটি কোন গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?
উত্তর: আখ্যানমঞ্জরী (দ্বিতীয় ভাগ) থেকে।

২। ‘আখ্যানমঞ্জরী’ গ্রন্থটি কবে রচিত হয়?
উত্তর: ১৮৬৮ খ্রিষ্টাব্দে।

৩। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে।

৪। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্ম তারিখ কত?
উত্তর: ২৬শে সেপ্টেম্বর, ১৮২০ সাল।

৫। বিদ্যাসাগরের প্রকৃত নাম কী ছিল?
উত্তর: ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।

৬। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কোন কলেজের ছাত্র ছিলেন?
উত্তর: কলকাতা সংস্কৃত কলেজ।

৭। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কোন দুটি ভাষায় পাণ্ডিত্য অর্জন করেন?
উত্তর: সংস্কৃত ও ইংরেজি ভাষায়।

৮। দানশীলতার জন্য বিদ্যাসাগরকে কী বলা হতো?
উত্তর: দয়ার সাগর।

৯। কাকে বাংলা গদ্যের জনক বলা হয়?
উত্তর: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে

১০। কোন গ্রন্থে তিনি বাংলা বর্ণমালা নতুনভাবে সাজান?
উত্তর: বর্ণপরিচয়।

১১। ‘বর্ণপরিচয়’ গ্রন্থটি কবে প্রকাশিত হয়?
উত্তর: ১৮৫৫ সালে।

১২। বিদ্যাসাগরের একটি বিখ্যাত অনুবাদগ্রন্থ কী?
উত্তর: বেতাল পঞ্চবিংশতি।

১৩। তাঁর রচিত একটি নাট্য অনুবাদগ্রন্থ কী?
উত্তর: শকুন্তলা।

১৪। সমাজ সংস্কারের উদ্দেশ্যে রচিত একটি গ্রন্থের নাম কী?
উত্তর: বিধবা বিবাহ প্রচলিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক প্রস্তাব।

১৫। বিদ্যাসাগরের রচিত একটি উপন্যাসধর্মী গ্রন্থ কী?
উত্তর: সীতার বনবাস।

১৬। বিদ্যাসাগরের একটি ব্যঙ্গাত্মক রচনা কী?
উত্তর: ভ্রান্তিবিলাস।

১৭। বিদ্যাসাগরের মৃত্যুর তারিখ কত?
উত্তর: ২৯শে জুলাই, ১৮৯১ সাল।

গল্প সম্পর্কে জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

১৮। আলী ইবনে আব্বাস কে ছিলেন?
উত্তর: খলিফা মামুনের প্রিয়পাত্র।

১৯। খলিফা মামুন কে ছিলেন?
উত্তর: আব্বাসীয় খলিফা এবং মুসলিম জগতের শাসক।

২০। খলিফা আলী ইবনে আব্বাসকে কী নির্দেশ দেন?
উত্তর: এক বন্দিকে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখতে।

২১। বন্দিকে কিভাবে আনা হয়েছিল?
উত্তর: খলিফার সামনে হস্তপদবদ্ধ অবস্থায়।

২২। খলিফার মেজাজ কেমন ছিল বন্দির প্রতি?
উত্তর: অত্যন্ত রাগান্বিত।

২৩। আলী ইবনে আব্বাস কোথায় বন্দিকে রাখলেন?
উত্তর: নিজের বাড়িতে।

২৪। বন্দিকে আলী ইবনে আব্বাস কোন প্রশ্নটি করেন?
উত্তর: তাঁর বাসস্থান কোথায়।

২৫। বন্দি কোথায় বাস করতেন?
উত্তর: ডেমাস্কাস শহরের এক বৃহৎ মসজিদের এলাকায়।

২৬। আলী ইবনে আব্বাস কোন শহরে আগেই গিয়েছিলেন?
উত্তর: ডেমাস্কাস।

২৭। ডেমাস্কাসে কবে গিয়েছিলেন?
উত্তর: এক শাসনকর্তার সঙ্গে অনেক বছর আগে।

২৮। কেন আলী ইবনে আব্বাস পালিয়ে এক গৃহে আশ্রয় নেন?
উত্তর: প্রাণভয়ে।

২৯। সেই গৃহস্বামী কেমন আচরণ করেছিলেন?
উত্তর: অত্যন্ত দয়াশীল ও অভয় প্রদানকারী।

৩০। কতদিন আশ্রয় দিয়েছিলেন গৃহস্বামী?
উত্তর: এক মাস।

৩১। আলী ইবনে আব্বাস কেন গৃহস্বামীর কাছে অর্থ চাননি?
উত্তর: লজ্জায়।

৩২। গৃহস্বামী কীভাবে তাঁর সাহায্য করেছিলেন?
উত্তর: অশ্ব, খাদ্য, ভৃত্য ও স্বর্ণমুদ্রা দিয়ে।

৩৩। গৃহস্বামী কীভাবে আলীকে যাত্রীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন?
উত্তর: নিজের আত্মীয়দের সঙ্গে আলাপ করিয়ে।

৩৪। আলী ইবনে আব্বাস কেন ডেমাস্কাসকে প্রিয় স্থান বললেন?
উত্তর: সেখানে প্রাণরক্ষা পেয়েছিলেন।

৩৫। আলী বন্দীকে মুক্ত করলেন কীভাবে?
উত্তর: হাত-পা থেকে শৃঙ্খল খুলে দিলেন।

৩৬। বন্দি কী অনুরোধ করেন আলীর কাছে?
উত্তর: পরিবারের কাছে বার্তা পাঠাতে।

৩৭। আলী তাঁকে কী দিলেন বিদায়ের সময়?
উত্তর: সহস্র স্বর্ণমুদ্রা।

৩৮। খলিফার রোষে পড়ার সম্ভাবনা জেনেও আলী কী সিদ্ধান্ত নিলেন?
উত্তর: বন্দিকে মুক্ত করে দিলেন।

৩৯। বন্দি কেন পালিয়ে যেতে রাজি হলেন না?
উত্তর: নিজের জন্য অপরের ক্ষতি চান না।

৪০। পরদিন আলী কোথায় গেলেন?
উত্তর: খলিফার কাছে।

৪১। পরদিন খলিফা কী জানতে চাইলেন?
উত্তর: বন্দিকে নিয়ে এসেছেন কি না।

৪২। খলিফা কী আদেশ দেন?
উত্তর: ঘাতককে প্রস্তুত হতে বলেন।

৪৩। আলী কীভাবে প্রার্থনা করেন?
উত্তর: চরণে লুটিয়ে পড়ে কাতরভাবে।

৪৪। খলিফা প্রথমে কী বলেন?
উত্তর: তাঁকে যদি ছেড়ে দিয়ে থাকো, প্রাণদণ্ড হবে।

৪৫। আলী কী উত্তর দেন?
উত্তর: প্রাণদণ্ড মেনে নেবেন, তবু কথা বলতে চান।

৪৬। খলিফা কী অনুমতি দেন?
উত্তর: বক্তব্য পেশের।

৪৭। আলী কী বলেন তাঁর বক্তব্যে?
উত্তর: বন্দির দয়াশীলতা ও পূর্ব পরিচয়ের কথা।

৪৮। আলী কী বলেন বন্দির দোষ সম্পর্কে?
উত্তর: তিনি দোষী নন, মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো।

৪৯। খলিফা কেমন ব্যক্তি ছিলেন?
উত্তর: উন্নতচেতা ও মহামতি।

৫০। খলিফা সিদ্ধান্ত গ্রহণে কী করেন?
উত্তর: কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করেন।

৫১। পরে খলিফা কী বলেন?
উত্তর: বন্দি প্রাণদণ্ড থেকে মুক্ত।

৫২। খলিফা বন্দিকে কীভাবে সম্ভাষণ করেন?
উত্তর: প্রীতি ও স্নেহভরে।

৫৩। খলিফা কী উপহার দেন বন্দিকে?
উত্তর: মহামূল্য পরিচ্ছদ, খচ্চর, অশ্ব, উষ্ট্র।

৫৪। খলিফা কোন চিঠি দেন?
উত্তর: ডেমাস্কাসের রাজপ্রতিনিধির নামে অনুরোধপত্র।

৫৫। খলিফা কত খচ্চর দেন?
উত্তর: দশটি।

৫৬। কত অশ্ব উপহার দেন?
উত্তর: দশটি।

৫৭। কত উষ্ট্র দেন?
উত্তর: দশটি।

৫৮। খলিফা কেন দুঃখ প্রকাশ করেন?
উত্তর: ভুলভাবে বিশ্বাস করে প্রাণদণ্ড দিতে চেয়েছিলেন।

৫৯। বন্দি প্রথমে কীভাবে বন্দি হন?
উত্তর: মিথ্যা অভিযোগে।

৬০। বন্দিকে কে দোষারোপ করে?
উত্তর: ঈর্ষাপরায়ণ শত্রুগণ।

৬১। বন্দির পরিবার কোথায়?
উত্তর: ডেমাস্কাসে।

শব্দার্থ সম্পর্কে জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

৬২। প্রত্যুপকার বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: উপকারীর উপকার করা।

৬৩। অভিরুচি অর্থ কী?
উত্তর: ইচ্ছা।

৬৪। সমভিব্যাহারে মানে কী?
উত্তর: সঙ্গে বা সাহচর্যে।

৬৫। নিষ্কৃতি অর্থ কী?
উত্তর: মুক্তি।

৬৬। কোপানল শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ক্রোধ বা রাগের আগুন।

৬৭। প্রতীতি বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: বিশ্বাস বা ধারণা।

৬৮। পরিচ্ছদ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: পোশাক।

৬৯। লোচন শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: চোখ।

৭০। মৌনাবলম্বন বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: নীরবতা পালন করা।

৭১। অব্যাহতি শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: মুক্তি বা ছাড়া পাওয়া।

৭২। অবধারিত মানে কী?
উত্তর: নিশ্চিত।

৭৩। প্রত্যাগমন বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: ফিরে আসা।

৭৪। রোষারক্ত নয়নে মানে কী?
উত্তর: ক্রোধে লাল চোখে।

৭৫। অবলোকনমাত্র অর্থ কী?
উত্তর: দেখামাত্র।

৭৬। সম্ভাষণ মানে কী?
উত্তর: সম্বোধন।

৭৭। উৎকট শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: অত্যন্ত প্রবল বা তীব্র।

৭৮। অবরুদ্ধ শব্দের মানে কী?
উত্তর: বন্দি।

৭৯। নিরীক্ষণ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: মনোযোগ দিয়ে দেখা।

৮০। খলিফা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: মুসলিম শাসকের প্রতিনিধি; ধর্ম ও রাষ্ট্রপ্রধান।

৮১। খলিফা কার পরে খলিফা শব্দটি ব্যবহৃত হয়?
উত্তর: হজরত মুহম্মদ (স.)-এর পরে।

৮২। ডেমাস্কাস কী?
উত্তর: এশিয়ার একটি প্রাচীন শহর।

৮৩। বর্তমানে ডেমাস্কাস কোন দেশের রাজধানী?
উত্তর: সিরিয়া।

৮৪। আল মামুন কে ছিলেন?
উত্তর: সপ্তম আব্বাসীয় খলিফা ও খলিফা হারুনর রশীদের দ্বিতীয় পুত্র।

৮৫। বাগদাদ বর্তমানে কোন দেশের রাজধানী?
উত্তর: ইরাক।

৮৬। বাগদাদ কোন নদীর তীরে অবস্থিত?
উত্তর: টাইগ্রিস নদীর উভয় তীরে।

৮৭। ফুরাত বা ইউফ্রেটিস নদীর কত মাইল উত্তরে বাগদাদ অবস্থিত?
উত্তর: পঁচিশ মাইল উত্তরে।

৮৮। বাগদাদ কে প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর: আব্বাসীয় খলিফা মনসুর।

৮৯। কোন সালে বাগদাদ প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর: ৭৬৩ খ্রিষ্টাব্দে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *