Table of Contents
অন্ধবধূ কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
কবি সম্পর্কে জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
১। যতীন্দ্রমোহন বাগচী কখন জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: ১৮৭৮ সালের ২৭শে নভেম্বর।
২। যতীন্দ্রমোহন বাগচীর জন্মস্থান কোথায়?
উত্তর: নদীয়া জেলার জামশেদপুর গ্রামে।
৩। যতীন্দ্রমোহন বাগচীর কাব্যগ্রন্থের মধ্যে কোন মহাকাব্য উল্লেখ আছে?
উত্তর: মহাভারতী।
৪। যতীন্দ্রমোহন বাগচীর মৃত্যু কবে হয়?
উত্তর: ১লা ফেব্রুয়ারি ১৯৪৮ সালে।
৫। ‘নাগকেশর’ কী?
উত্তর: ‘নাগকেশর’ কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচী রচিত একটি কাব্যগ্রন্থ।
কবিতা সম্পর্কে জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
৬। কবিতার প্রথম পঙক্তিতে কোথায় নরম ঠেকেছে?
উত্তর: পায়ের তলায়।
৭। ঠাকুরঝির সঙ্গে অন্ধবধূ কী করতে চায়?
উত্তর: আস্তে একটু চলতে চায়।
৮। ঝরা-বকুল কী?
উত্তর: একটি ফুল।
৯। কবিতায় ‘রাত্তিরে কাল মধুমদির বাসে’ কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: সন্ধ্যা বা রাতের মধুর সময়।
১০। দিঘির ঘাটে কী জেগে ওঠে?
উত্তর: দিঘির ঘাটে নতুন সিঁড়ি জেগে ওঠে।
১১। কার কাঁদার সুখ বারণ?
উত্তর: যার চোখ জন্মের মতো গিয়েছে তার কাঁদার সুখ বারণ।
১২। আমের গায়ে কী দেখা যায়?
উত্তর: বরণ (ছোপ) দেখা যায়।
১৩। কোকিল-ডাকা কখন শোনা গেছে?
উত্তর: অনেক আগে।
১৪। দখিন হাওয়া কী রকম?
উত্তর: বন্ধ।
১৫। দীঘির ঘাটে কী নতুন হয়েছে?
উত্তর: নতুন সিড়ি।
১৬। শ্যাওলা-পিছলে কী শঙ্কা আছে?
উত্তর: পা পিছলে তলিয়ে যাওয়ার।
১৭। অন্ধ চোখের কী ধরনের দ্বন্দ্ব আছে?
উত্তর: দুঃখপূর্ণ, চুকে যায়।
১৮। ‘অন্ধবধূ’ কবিতায় কোন পাখির ডাকের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: ‘অন্ধবধূ’ কবিতায় কোকিলের ডাকের কথা বলা হয়েছে।
১৯। অন্ধ চোখের কী চুকে যায়?
উত্তর: অন্ধ চোখের দ্বন্দ্ব চুকে যায়।
২০। এই আষাঢ়ে কী ঘটবে?
উত্তর: আবার বিয়ে হবে।
২১। কীসের বাসে বধূটির আকাশ-পাতাল কতই মনে হয়?
উত্তর: মধুমদির বাসে বধূটির আকাশ-পাতাল কতই মনে হয়।
২২। বধূটি কোন মাস আসার দেরির ভাবনা ভাবে?
উত্তর: বধূটি জ্যৈষ্ঠ মাস আসার দেরির ভাবনা ভাবে।
২৩। ‘চোখ গেল’ কথাটি কিভাবে বলা হয়েছে?
উত্তর: চেঁচিয়ে বলা হয়েছে।
২৪। অন্ধবধূটি কীসের পাশে বসে ভাবে?
উত্তর: অন্ধবধূটি দোরের পাশে বসে ভাবে।
২৫। কাঁদতে পারলে কী হত?
উত্তর: শোক কমত।
২৬। ‘অন্ধবধূ’ কবিতায় কীসের তলায় নরম কিছু ঠেকার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: ‘অন্ধবধূ’ কবিতায় পায়ের তলায় নরম কিছু ঠেকার কথা বলা হয়েছে।
২৭। ‘অন্ধবধূ’ কবিতায় কোন ফুল ঝরে পড়ার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: ‘অন্ধবধূ’ কবিতায় বকুল ফুল ঝরে পড়ার কথা বলা হয়েছে।
২৮। একলা থাকা নিয়ে কী বলা হয়েছে?
উত্তর: গৃহকোণের চেয়ে কম দুঃখ।
২৯। স্নিগ্ধ শীতল জলের সঙ্গে কী তুলনা করা হয়েছে?
উত্তর: মায়ের স্নেহের মতো পরশ।
৩০। স্নিগ্ধ শীতল জলের কী কাজ?
উত্তর: মনের ব্যথা ভুলায়।
৩১। অন্ধবধূ কেমন মানুষ?
উত্তর: অন্ধবধূ অনুভবঋদ্ধ মানুষ।
৩২। চোখ গেল কী?
উত্তর: চোখ গেল একটি পাখি বিশেষ।
৩৩। কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচী তাঁর কাব্যে কীসের রূপ উন্মোচনে প্রয়াসী হয়েছেন?
উত্তর: কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচী কাব্যে গ্রামবাংলার শ্যামল-স্নিগ্ধ রূপ উন্মোচনে প্রয়াসী হয়েছেন।
৩৪। ‘কাঁদার সুখ’ কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: কাঁদার মাধ্যমে শোক লাঘবের সুখ।
৩৫। অন্ধবধূ মারা গেলে কে আগে বেঁচে যাবে?
উত্তর: অন্ধবধূ মারা গেলে তার স্বামী আগে বেঁচে যাবে।
৩৬। কোন পাখি চেঁচিয়ে সারা হয়?
উত্তর: ‘চোখ গেল’ পাখি চেঁচিয়ে সারা হয়।
৩৭। অন্ধবধূ কীসের গায়ে বরণ দেখার কথা বলে?
উত্তর: অন্ধবধূ আমের গায়ে বরণ দেখার কথা বলে।
৩৮। অন্ধবধূর শোক কীভাবে কমত?
উত্তর: কাঁদলে অন্ধবধূর শোক কমত।
৩৯। স্নিগ্ধ শীতল জলের পরশ অন্ধবধূর কাছে কীসের মতো মনে হয়?
উত্তর: স্নিগ্ধ শীতল জলের পরশ অন্ধবধূর কাছে মায়ের স্নেহের মতো মনে হয়।
শব্দার্থ সম্পর্কে জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
৪০। ‘ঠাকুরঝি’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ননদ, স্বামীর বোন বা শ্বশুরকন্যা।
৪১। ‘মধুমদির বাসে’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: মধুর গন্ধে মোহময় সুগন্ধে আচ্ছন্ন হওয়া।
৪২। ‘আকাশ-পাতাল’ শব্দগুচ্ছের অর্থ কী?
উত্তর: নানা বিষয় ও নানান ভাবনা-অনুভূতি।
৪৩। ‘জ্যৈষ্ঠ আসতে ক-দিন দেরি ভাই’ পঙক্তিতে কী প্রকাশ পেয়েছে?
উত্তর: একজন অন্ধ মানুষের ঋতুর পরিবর্তনের অনুভব।
৪৪। অন্ধবধূর অনুভূতি কেমন?
উত্তর: প্রখর ও সমৃদ্ধ অনুভূতি শক্তি।
৪৫। অন্ধত্বের কষ্ট সে কীভাবে অনুভব করে?
উত্তর: গভীরভাবে, জীবনযাপনে বাধা হিসেবে।
৪৬। ‘দীঘির ঘাটে শেওলা পড়ে পিছল সিঁড়ি’ দেখে কী আশঙ্কা প্রকাশ পায়?
উত্তর: পিছলে পড়ে ডুবে মরার আশঙ্কা।
৪৭। অন্ধবধূ কীভাবে জীবনের প্রতি মনোভাব পোষণ করে?
উত্তর: জীবনের প্রতি গভীর মমত্ববোধ এবং আশাবাদী।
৪৮। ‘চোখ গেল’ কী?
উত্তর: একটি বিশেষ পাখির ডাক, যা ‘চোখ গেল’ শব্দের মতো শোনা যায়।
৪৯। ‘কাঁদার সুখ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: কাঁদার মাধ্যমে দুঃখ ও শোকে স্বস্তি পাওয়া।