Skip to content

SSC পরীক্ষার সুভা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর (PDF সহ)

SSC পরীক্ষার সুভা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর (PDF সহ)

সুভা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

মূল বইয়ের সৃজনশীল প্রশ্ন

১। দুই পুত্রসন্তানের পর কন্যাসন্তান পলাশ বাবুর পরিবারে আনন্দের বন্যা নিয়ে এল। নাম রাখা হলো ‘কল্যাণী’। সকলের চোখের মণি কল্যাণী বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে পলাশ বাবু বুঝতে পারলেন, বয়সের তুলনায় কল্যাণীর মানসিক বিকাশ ঘটেনি। কিছু বললে ফ্যালফ্যাল্ করে চেয়ে থাকে। কল্যাণীর বিয়ের কথাবার্তা চলছে। পলাশবাবু কল্যাণীর অবস্থা বরপক্ষকে খুলে বললেন। সব শুনে বরের বাবা সুবোধ বাবু বললেন, ‘পলাশ বাবু কল্যাণীর মতো আমার ছেলেও তো হতে পারত, কাজেই কল্যাণীমাকে ঘরে নিতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’
ক. সুভার গ্রামের নাম কী?.
খ. ‘পিতামাতার নীরব হৃদয়ভার’- কথাটি দ্বারা লেখক কী বোঝাতে চেয়েছেন?
গ. উদ্দীপকের প্রথম অংশের বক্তব্যে কল্যাণী ও সুভার যে বিশেষ দিকটির সঙ্গতি দেখানো হয়েছে, তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘কল্যাণী ও সুভা একই পরিস্থিতির শিকার হলেও উভয়ের প্রেক্ষাপট ও পরিণতি ভিন্ন’ বিশ্লেষণ করো।

১ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

ক) সুভার গ্রামের নাম চণ্ডীপুর।

খ) সুভা কথা বলতে না পারায় তার বিয়ে হচ্ছিল না বলে সে তার পিতামাতার মনে নীরব হৃদয়ভার, অর্থাৎ দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

গল্পের সুভা কথা বলতে পারে না, সে একজন বাকপ্রতিবন্ধী মেয়ে। এই কারণে তার বয়স হলেও তার বাবা-মা তার বিয়ের ব্যবস্থা করতে পারছিলেন না। সুভার বড় দুই বোনের বিয়ে হয়ে গেলেও সুভার বিয়ে হচ্ছিল না। তাই সুভার মা-বাবা খুব চিন্তায় পড়ে যান—একজন বাকপ্রতিবন্ধী মেয়েকে কেমন করে বিয়ে দেবেন? এই দুশ্চিন্তাই তাদের মনে ভার হয়ে চেপে বসে।

গ) উদ্দীপকের প্রথম অংশে কল্যাণীর প্রতিবন্ধিতা এবং ‘সুভা’ গল্পে সুভার প্রতিবন্ধিতার মধ্যে মিল রয়েছে।

‘সুভা’ গল্পে সুভা কথা বলতে পারে না। এ কারণে সমাজ ও পরিবারে সে অনেকটা অবহেলিত হয়ে পড়ে। তার মা তাকে ভাগ্যের দোষ বলে মনে করেন। অনেকে তাকে বুঝতে না পারায় তার প্রতি ভালোবাসাও ঠিকভাবে দেখায় না। সুভার বাবা তাকে ভালোবাসলেও মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন।

উদ্দীপকের কল্যাণী জন্মের পর পরিবারের জন্য আনন্দ এনেছিল। কিন্তু বড় হতে হতে তার মানসিক বিকাশ থেমে যায়, ফলে সে একজন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হিসেবে পরিচিত হয়।

এইভাবে দেখা যায়, কল্যাণী ও সুভা—দুজনেই কোনো না কোনোভাবে প্রতিবন্ধী। তাই উদ্দীপকের প্রথম অংশে কল্যাণী ও সুভার প্রতিবন্ধিতা নিয়ে যে কথা বলা হয়েছে, তা একে অন্যের সঙ্গে ভালোভাবে মিলে যায় বা সংগতি রাখে।

ঘ) প্রতিবন্ধিতার দিক থেকে সুভা ও কল্যাণী এক হলেও তাদের জীবনের অবস্থা ও পরিণতি একেবারে আলাদা।

‘সুভা’ গল্পে দেখা যায়, সুভা কথা বলতে পারে না। এজন্য সমাজ ও পরিবারে সে অবহেলিত। তার মা তাকে দুর্ভাগ্যের ফল মনে করতেন, প্রতিবেশীরাও তার ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা করত। কেউ তাকে ভালোবাসা বা গুরুত্ব দিত না। তাই সে এক সময় নিজেকে গুটিয়ে নেয়। শেষে বাবাও তাকে বিয়ে দিতে না পেরে শহরে নিয়ে চলে যান। ফলে সুভার জীবনে আনন্দ বা ভালোবাসার কোনো পরিণতি ছিল না।

অন্যদিকে, উদ্দীপকে কল্যাণী নামে একটি মেয়ের কথা বলা হয়েছে, যে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হলেও পরিবারে সবার আদরের ছিল। জন্মের সময় সে পরিবারে খুশি বয়ে এনেছিল। পরেও কেউ তার প্রতিবন্ধিতাকে সমস্যা মনে করেনি। এমনকি বিয়ের সময় বরপক্ষও তা জেনে-শুনে মেনে নিয়েছে।

এখানে দেখা যায়, সুভা এবং কল্যাণী—দুজনেই প্রতিবন্ধী হলেও কল্যাণী পরিবার ও সমাজে ভালোবাসা ও মর্যাদা পেয়েছে, কিন্তু সুভা পেয়েছে অবহেলা ও দুঃখ। তাই বলা যায়, প্রতিবন্ধিতার দিক থেকে তারা এক হলেও বাস্তবতা ও পরিণতির দিক থেকে তারা এক নয়। এই কারণে প্রশ্নে যেটা বলা হয়েছে, সেটা ঠিকই বলা হয়েছে।

অতিরিক্ত সৃজনশীল প্রশ্ন

২। প্রতিবন্ধীরা জীবনের স্বাভাবিক ধারায় অন্যদের মতো সমানতালে অগ্রসর হতে না পারলেও সকলের সহযোগিতা, সঠিক মনোযোগ ও দিকনির্দেশনা এবং পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার মধ্য দিয়ে সমাজে বিশেষ অবদান রাখতে পারে। তারা হয়ে উঠতে পারে বিশ্বের সেরা ও শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব। জনপ্রিয় তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী ও গণিতবিদ স্টিফেন হকিং একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়েও তাঁর নানা তত্ত্ব আবিষ্কারের মাধ্যমে তিনি সারা বিশ্বে সমাদৃত।
ক. সুভার বাবার নাম কী?
খ. প্রতাপকে নিতান্ত অকর্মণ্য লোক বলা হয়েছে কেন?
গ. উদ্দীপকের কোন দিকটি ‘সুভা’ গল্পের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “উদ্দীপকের বিষয়বস্তু ‘সুভা’ গল্পের সামগ্রিক ভাব প্রকাশ করেনি।”- যুক্তিসহ উপস্থাপন করো।


৩। হলদিয়া গ্রামের দানু মিয়ার স্ত্রী হাত-পায়ের আঙুলবিহীন এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। সন্তানের এরূপ দেখে বাবাও কিছুটা হতাশ হয়। আশেপাশেই সবাই বাচ্চাটাকে দেখে মা-বাবার সামনেই কটাক্ষ করে। কিন্তু দানু মিয়ার স্ত্রী সন্তানকে নিজের মমতা দিয়ে মানুষ করতে থাকে। মায়ের অনুপ্রেরণায় সে কন্যা এখন একটি সরকারি কলেজে প্রভাষক হিসেবে চাকরি করে। প্রকৃত মানুষ হয়ে সে পরিবারের সবার মুখ উজ্জ্বল করেছে।
ক. ‘পূর্ণিমা তিথি’ অর্থ কী?
খ. সুভার সমস্ত হৃদয় অশ্রুবাষ্পে ভরে গেল কেন?
গ . উদ্দীপকের দানু মিয়ার স্ত্রীর সাথে ‘সুভা’ গল্পের সুভার মায়ের বৈসাদৃশ্য তুলে ধরো।
ঘ. ‘প্রতিবন্ধীরা কোনো বোঝা নয় বরং অনুপ্রেরণায় তারা সম্পদে পরিণত হয়।’ মন্তব্যটি উদ্দীপক এবং ‘সুভা’ গল্পের আলোকে বিশ্লেষণ করো।


৪। দরিদ্র পরিবারের জন্মান্ধ মীম বাড়ির আঙিনায় গুনগুন করে গান গাচ্ছিল। পাশের পথে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন গানের শিক্ষক ব্রজেনবাবু।
মীমের কণ্ঠে বিমোহিত হয়ে তিনি তার বাবার সাথে কথা বলে বিনা পারিশ্রমিকে গান শেখানোর দায়িত্ব নেন। ব্রজেনবাবুর উৎসাহ ও অনুপ্রেরণায় কালের পরিক্রমায় মীম হয়ে ওঠে নামকরা কন্ঠশিল্পী। সে তাই পরিবারের বোঝা নয় বরং সম্পদ।
ক. প্রতাপের প্রধান শখ কী?
খ. ‘সুতরাং উভয়ের মধ্যে সমভাষা ছিল না’- বুঝিয়ে লেখো
গ. উদ্দীপকের ব্রজেনবাবুর সাথে ‘সুভা’ গল্পের সুভার পিতামাতার বৈসাদৃশ্য তুলে ধরো।

ঘ. ‘মমত্বশীল দৃষ্টিভঙ্গিই পারে মীমের মতো সুভাকেও সম্পদে পরিণত করতে।’- মন্তব্যটি মূল্যায়ন করো।


৫। কাজগুলোকে সে আপনার করে নিল, মানুষগুলোর দিকে ফিরেও তাকাল না। মায়ের সঙ্গে মৃদুস্বরে দুই একটি দরকারি কথা বলা ছাড়া ছটা থেকে বেলা সাড়ে দশটা অবধি একবার কাশির শব্দ পর্যন্ত করল না। সে যেন ছায়াময়ী মানবী, ছায়ার মতোই মানিমার ঐশ্বর্যে মহীয়সী কিন্তু ধরাছোঁয়ার অতীত শব্দহীন অনুভূতিহীন নির্বিকার।
ক. নোবেল প্রাপ্তিতে রবীন্দ্রনাথ এশীয়দের মধ্যে কততম?
খ. ‘সুভা’ গল্পে উল্লিখিত নদীটিকে ‘গৃহস্থঘরের মেয়েটির মতো’ বলা হয়েছে কেন?
গ. উদ্দীপকে ‘সুভা’ গল্পের কোন দিকটির ছায়াপাত ঘটেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘উদ্দীপকটি সুভার সামগ্রিক সত্তার পরিচয় বহন করে না।’- ‘সুভা’ গল্পের আলোকে বিশ্লেষণ করো।


৬। দৃশ্যপট-১: মালা বাষ্প্রতিবন্ধী। সে নিজের আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে না। সবাই তাকে নিয়ে নানা রকম কটু কথা বলে। মা-ও তাকে সংসারের বোঝা মনে করেন। সে গাছপালা, ফুল, পাখি এদের সঙ্গে ভাব বিনিময় করে।
দৃশ্যপট-২: দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সায়মা। বাবা, আত্মীয়স্বজন সরাই তাকে ভালোবাসে। তাকে সার্বিক সহযোগিতা করে সকলেই। সে এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে।
ক. সুভা দিনে কয়বার গোয়ালঘরে যেত?
খ. সুভার পিতামাতা চিন্তিত হয়ে পড়লেন কেন?
গ. দৃশ্যপট-১-এর সঙ্গে ‘সুভা’ গল্পের সাদৃশ্যপূর্ণ- দিকটি ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘উপযুক্ত পরিবেশ পেলে দৃশ্যপট-২-এর সায়মার মতো সুভাও প্রতিষ্ঠিত হতো।’- এ বিষয়ে তোমার মতামত দাও।


৭। পদ্মার তীরের ছোটো একটি গ্রামে বেড়ে ওঠা দুরন্ত কিশোর শৈবাল দশম শ্রেণির ছাত্র। অসীম সাহসী এ কিশোর। খেলাধুলা, বন্ধুদের সাথে দুষ্টুমি কোনো কিছুতে সে পিছিয়ে নেই। হঠাৎ একদিন। সড়ক দুর্ঘটনায় সে তার একটি হাত হারায়। এতে সে মানসিকভাবে। পুরোপুরি ভেঙে পড়ে। পড়ালেখায় মন দিতে পারে না। তার সহপাঠীরা। তাকে উৎসাহ ও সাহস দিয়ে আবার প্রাণচঞ্চল করে তোলে। সে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়। সবাই তার সফলতায় খুশি হয়।
ক: সুভা কখন নদীতীরে এসে বসে?
খ. পিতা-মাতার মনে সুভা সর্বদাই জাগরুক ছিল কেন?
গ. উদ্দীপকের শৈবালের মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার দিকটি ‘সুভা’। গল্পের সুভার সঙ্গে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “উদ্দীপকের সহপাঠীদের মতো মানসিকতা থাকলে ‘সুভা’ গল্পের সুভার পরিবারকে বিড়ম্বনার শিকার হতে হতো না।”-মন্তব্যটির যথার্থতা বিশ্লেষণ করো।


৮। নবম শ্রেণি পড়ুয়া প্রাণচঞ্চল শুভ বন্ধুদের সাথে মিলেমিশে খেলাধুলা করত। হঠাৎ সড়ক দুর্ঘটনায় দুইটি পা হারানোর পর সে আগের মতো প্রাণবন্ত সেই পরিবেশ পায় না। ফলে ধীরে ধীরে সে। নিশ্চুপ হয়ে যায়।
ক. সুভা কার কাছে মুক্তির আনন্দ পায়?
খ. প্রতাপের প্রতি তার মা-বাবার নিরাশ হওয়ার কারণ বুঝিয়ে। লেখো।
গ. উদ্দীপকটিতে ‘সুভা’ গল্পের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা। করো।
ঘ. “উদ্দীপকের শুভর মতো মানুষদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার শিক্ষাই ‘সুভা’ গল্পের মূল উপজীব্য।”- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।


৯। একমাত্র সন্তান আবিদ বাষ্প্রতিবন্ধী- বিষয়টি যখন জানলেন নাজনীন সুলতানা- একটুও ঘাবড়ালেন না; স্বামীকেও বোঝালেন। বাবা-মায়ের পরম স্নেহ-মমতা ও আদর-যত্নে বেড়ে উঠতে লাগল আবিদ। একদিন নাজনীন সুলতানা লক্ষ করলেন আবিদ আপন মনে কাগজে আঁকিবুকি করছে; তিনি স্বামীর সাথে পরামর্শ করে ছেলের আঁকাআঁকির জন্য যা যা করা দরকার সব ব্যবস্থা করলেন। আজ দেশে-বিদেশে আবিদের আঁকা ছবি প্রদর্শনী হচ্ছে; বিক্রি হচ্ছে বহুমূল্যে।
ক. সুভার মা সুভার প্রতি বিরক্ত ছিল কেন?
খ. ‘তুমি আমাকে যাইতে দিয়ো না, মা।’- সুভার এই অভিব্যক্তি। বুঝিয়ে লেখো।
গ. আবিদের বাবা-মায়ের সাথে ‘সুভা’ গল্পের বাবা-মায়ের বৈসাদৃশ্য দেখাও।
ঘ. ‘উপযুক্ত পরিবেশ ও পরিচর্যা পেলে আবিদের মতো সুভাও সমাজের। একজন হয়ে উঠতে পারত।’- যুক্তি দাও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *