Skip to content

সৈয়দ মুজতবা আলীর প্রবাস বন্ধু গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রবাস বন্ধু গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রবাস বন্ধু গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

লেখক সম্পর্কে প্রশ্ন

১। ‘প্রবাস বন্ধু’ রচনাটি কোন গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?
উত্তর: ‘দেশে বিদেশে’ গ্রন্থ থেকে।

২। ‘প্রবাস বন্ধু’ কোন পরিচ্ছেদে অন্তর্ভুক্ত?
উত্তর: পঞ্চদশ (১৫তম) পরিচ্ছেদে।

৩। সৈয়দ মুজতবা আলী কবে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: ১৩ই সেপ্টেম্বর ১৯০৪ সালে।

৪। সৈয়দ মুজতবা আলী কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: আসামভুক্ত শ্রীহট্ট জেলার করিমগঞ্জে।

৫। তিনি কোথায় স্কুলজীবন শুরু করেন?
উত্তর: সিলেট গভর্মেন্ট হাইস্কুলে।

৬। তিনি শান্তিনিকেতনে কী করেন?
উত্তর: তিনি সেখানে পড়াশোনা করেন।

৭। কবে তিনি বিশ্বভারতী থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন?
উত্তর: ১৯২৬ সালে।

৮। সৈয়দ মুজতবা আলীর কর্মজীবন কোথায় শুরু হয়?
উত্তর: আফগানিস্তানের কাবুলের কৃষিবিজ্ঞান কলেজে অধ্যাপনার মাধ্যমে।

৯। তিনি কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন?
উত্তর: বার্লিন ও বন বিশ্ববিদ্যালয়ে।

১০। কবে তিনি ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন?
উত্তর: ১৯৩২ সালে।

১১। তিনি কোন মিশরীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন?
উত্তর: আল আজাহার বিশ্ববিদ্যালয়ে।

১২। মহীশূরে তিনি কোন কলেজে শিক্ষকতা করেন?
উত্তর: বরোদা কলেজে।

১৩। কবে তিনি আজিজুল হক কলেজে অধ্যক্ষ হন?
উত্তর: ১৯৪৯ সালে।

১৪। কেন সৈয়দ মুজতবা আলী চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন?
উত্তর: পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে প্রবন্ধ লেখার কারণে।

১৫। পরে তিনি কোথায় রিডার নিযুক্ত হন?
উত্তর: বিশ্বভারতীতে।

১৬। ‘দেশে বিদেশে’ কোন ধরনের গ্রন্থ?
উত্তর: ভ্রমণকাহিনি।

১৭। সৈয়দ মুজতবা আলীর আরেকটি হাস্যরসাত্মক রচনা কী?
উত্তর: চাচা কাহিনী।

১৮। ‘ময়ূরকণ্ঠী’ কী ধরনের রচনা?
উত্তর: গদ্যসংকলন বা গল্পগ্রন্থ।

১৯। ‘শবনম’ রচনাটি কী ধরনের রচনা?
উত্তর: উপন্যাস।

২০। সৈয়দ মুজতবা আলীর গদ্যে কোন ধরনের রস লক্ষ্য করা যায়?
উত্তর: ব্যঙ্গ ও কৌতুকের রস।

২১। সৈয়দ মুজতবা আলী কবে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: ১১ই ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪ সালে।

২২। তিনি কোথায় মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: ঢাকায়।

গল্প সম্পর্কে প্রশ্ন

২৩। লেখক কোথায় বাসা পেলেন?
উত্তর: খাজামোল্লা গ্রামে, কাবুল শহর থেকে আড়াই মাইল দূরে।

২৪। আবদুর রহমান কে ছিলেন?
উত্তর: লেখকের চাকর এবং হরফুন-মৌলা।

২৫। আবদুর রহমান কেমন চেহারার ছিলেন?
উত্তর: ছয় ফুট চার ইঞ্চি লম্বা, পা ডিঙি নৌকার মতো, হাতে কলার মতো আঙুল, দেহ কাঠামো ভীমসেনের মতো।

২৬। আবদুর রহমান পূর্বে কোথায় কাজ করতেন?
উত্তর: পল্টনে, মেসের চার্জে।

২৭। আবদুর রহমান কী কী রাঁধতে জানতেন?
উত্তর: পোলাও, কোরমা, কাবাব, ফালুদা।

২৮। কাবুলে বরফ কোথা থেকে আসে?
উত্তর: পাগমান পাহাড়ের গর্ত থেকে খনন করে গাধায় করে আনা হয়।

২৯। লেখক প্রথমে আবদুর রহমানকে কেমন মনে করেছিলেন?
উত্তর: একইসঙ্গে ভরসাজনক ও ভয়ঙ্কর।

৩০। লেখকের প্রথম রাতের খাওয়া কেমন ছিল?
উত্তর: খুবই বেশি এবং ভারি খাবার পরিবেশন করা হয়।

৩১। ‘বাগেবালার বরফি আঙুর’ কী?
উত্তর: বরফের মধ্যে রাখা আঙুর যা আফগানিস্তানে বিখ্যাত।

৩২। আবদুর রহমান লেখকের রান্না পছন্দ না হওয়া ভেবেছিলেন কেন?
উত্তর: লেখক অনেকটা কম খেয়েছিলেন বলে।

৩৩। লেখক আবদুর রহমানকে কীভাবে বোঝালেন যে তিনি খুশি?
উত্তর: নিজের গায়ের ওজন ও শক্তির তুলনা দিয়ে বোঝালেন।

৩৪। আবদুর রহমান কোন জায়গার মানুষ?
উত্তর: পানশির, উত্তর আফগানিস্তান।

৩৫। পানশির কেমন জায়গা ছিল আবদুর রহমানের মতে?
উত্তর: স্বর্গসম, প্রচুর খাওয়া যায় এবং বিশুদ্ধ হাওয়া থাকে।

৩৬। শীতে পানশিরে কী হয়?
উত্তর: বরফ পড়ে, সব ঢাকা পড়ে, মানুষ বাড়িতে বসে থাকে।

৩৭। আবদুর রহমানের মতে, বরফ কী রকম হয়?
উত্তর: কখনো তুলোর মতো, কখনো ঝড়ে উড়ে বেড়ায়।

৩৮। আবদুর রহমান শীতে কেমন জীবনযাপন করেন?
উত্তর: জানালার পাশে বসে বরফ পড়া উপভোগ করেন।

৩৯। লেখক পানশিরে শীত কাটাতে চান কেন?
উত্তর: আবদুর রহমান যেন তার রান্না না ছাড়ে।

৪০। লেখক চা পান করেন কীভাবে?
উত্তর: ফিকে সবুজ চা, প্রথম পেয়ালায় চিনি, পরেরগুলো শুধু চা।

৪১। কাবুলের পানি কেমন ছিল লেখকের মতে?
উত্তর: গলানো পাথরের মতো ভারী।

৪২। বরফ ঢাকা আঙুর কেমন ছিল লেখকের মতে?
উত্তর: ঠান্ডায় ঝিনঝিন করে ওঠে মাথা।

৪৩। লেখক কেন পানশিরে যাওয়ায় রাজি হলেন?
উত্তর: নিজের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।

৪৪। আবদুর রহমান কিসে বরফ ঘষতেন?
উত্তর: আঙুলে হাতে নিয়ে খুব মোলায়েমভাবে।

৪৫। সাধারণত কাবুলের চা কতবার খাওয়া হয়?
উত্তর: ছয়বারের মতো।

৪৬। আবদুর রহমান কোন ফল বেশি পছন্দ করতেন?
উত্তর: আঙুর।

৪৭। আবদুর রহমান লেখকের রান্না পছন্দ না হওয়ায় কী ভাবেন?
উত্তর: তার রান্নায় খুশি হননি মনে করে দুঃখ পান।

৪৮। কাবুলের চা কেমন রঙের?
উত্তর: ফিকে হলদে।

৪৯। আবদুর রহমান কেন বোঝা নিজে বইলেন?
উত্তর: সে নিজেই মজুরদের কাজ করতে সক্ষম মনে করতেন।

৫০। কাবুল শহরে লেখক কাকে নিশাচর বলেন?
উত্তর: অধ্যক্ষ জিরাকে।

৫১। আবদুর রহমান কোন প্রাকৃতিক জিনিসের রূপে খাবার এনে দেন?
উত্তর: তুষার ঢাকা আঙুর।

৫২। ফালুদা কীভাবে পরিবেশন করা হয়?
উত্তর: বরফসহ পরিবেশিত হয়।

৫৩। পানশিরের হাওয়া কেমন?
উত্তর: একদম বিশুদ্ধ, ধুলোবালিহীন ও ঠান্ডা।

৫৪। ‘বেহুঁশ হয়ে বরফে পড়ে গেলে কি হয়’?
উত্তর: ছয় হাত বরফ জমে গেলেও মানুষ বেঁচে থাকতে পারে।

৫৫। আবদুর রহমানের রান্নায় কোন ধরনের মাংস ছিল?
উত্তর: দুম্বার মাংস।

৫৬। পানশিরের বরফ পড়া দেখতে কেমন লাগে?
উত্তর: পেঁজা তুলোর মতো, কখনো ঝড়ে উড়ে বেড়ায়।

৫৭। আবদুর রহমান লেখকের পাতে কী পরিবেশন করেন?
উত্তর: পোলাও, কোরমা, শামী কাবাব, কোফতা, ফালুদা।

৫৮। লেখক চা কতবার পান করেন?
উত্তর: তিন থেকে চারবার।

৫৯। লেখকের মতে, কাবুলের বাতাস কেমন?
উত্তর: আতসবাজির হল্কা।

৬০। আবদুর রহমান কোথায় ফালুদা তৈরি শেখেন?
উত্তর: মেসে কাজ করার সময়।

৬১। পানশিরে বরফ কেমন পড়ে?
উত্তর: একটানা অনেক দিন ধরে পড়ে।

৬২। কাবুল নদীর জল কেমন ছিল?
উত্তর: ঠান্ডা এবং মুখ ধোয়ার সময় ঝিনঝিন করে।

শব্দার্থ নিয়ে প্রশ্ন

৬৩। “ও রভোয়া” শব্দবন্ধের অর্থ কী?
উত্তর: আবার দেখা হবে।

৬৪। “নরদানব” বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: বিশালদেহী, ভয়ঙ্কর দর্শন হলেও আদরার্থে ব্যবহার করা এক মানুষ।

৬৫। “মর্তমান কলা” কী?
উত্তর: মায়ানমারের মার্তাবান দ্বীপে উৎপন্ন একটি কলার জাত।

৬৬। “রুজ” শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: গাল রাঙানোর প্রসাধনী।

৬৭। “পান্তুয়া” কী ধরনের খাবার?
উত্তর: চিনির রসে ভেজানো ঘিয়ে ভাজা মিষ্টান্ন।

৬৮। “তাগদ” শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: শক্তি।

৬৯। “বারকোশ” বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: কাঠের তৈরি উঁচু-কানা বিশিষ্ট বড় থালা।

৭০। “পুনরপি” শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: পুনরায়।

৭১। “ব্রহ্মরন্ধ্র” বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: তালুর কেন্দ্রে অবস্থিত একটি সূক্ষ্ম ছিদ্র।

৭২। “বপু” শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: বড় দেহ।

৭৩। “তনু” শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ক্ষীণ দেহ।

৭৪। “উত্তমার্ধ” বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: স্ত্রী বা সহধর্মিণী।

৭৫। “তম্বী” শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: তিরস্কার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *