Table of Contents
৯ম-১০ম শ্রেণির নিরীহ বাঙালি প্রবন্ধের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
লেখক সম্পর্কে জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
১। রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন কখন জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: ৯ই ডিসেম্বর ১৮৮০ সালে।
২। রোকেয়ার জন্মস্থান কোথায়?
উত্তর: রংপুর জেলার পায়রাবন্দ গ্রামে।
৩। রোকেয়ার পিতার নাম কী?
উত্তর: জহীরুদ্দিন মোহাম্মদ আবু আলী হায়দার সাবের।
৪। রোকেয়ার পিতার সামাজিক অবস্থান কী ছিল?
উত্তর: সম্ভ্রান্ত ভূস্বামী ছিলেন।
৫। রোকেয়ার প্রথম শিক্ষা কে দিয়েছিলেন?
উত্তর: বড় বোন করিমুন্নেসা বেগম।
৬। রোকেয়া কার থেকে ইংরেজি ভাষা শিখেছিলেন?
উত্তর: বড় ভাই ইব্রাহিম সাবের থেকে।
৭। রোকেয়ার স্বামীর নাম কী?
উত্তর: সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন।
৮। বিবাহের পর রোকেয়াকে কী নামে পরিচিত করা হয়?
উত্তর: বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন।
৯। রোকেয়ার সাহিত্যচর্চার প্রেরণা কে দিয়েছিলেন?
উত্তর: স্বামীর।
১০। রোকেয়া কোন সমাজের কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লিখেছেন?
উত্তর: সমকালীন মুসলিম সমাজের।
১১। রোকেয়ার প্রধান উদ্দেশ্য কী ছিল?
উত্তর: মুসলিম নারী জাগরণ।
১২। তিনি কোন স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর: সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল।
১৩। রোকেয়া কোন সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর: আনজুমান-ই-খাওয়াতীন-ই-ইসলাম।
১৪। রোকেয়া নারীদের জন্য কী কাজে সাহায্য করেছিলেন?
উত্তর: শিক্ষা ও সংস্কৃতির উন্নয়নে।
১৫। রোকেয়া কখন মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: ৯ই ডিসেম্বর ১৯৩২ সালে।
১৬। রোকেয়া কোন জেলার ছিল?
উত্তর: রংপুর জেলার।
১৭। রোকেয়ার বিয়ে কার সাথে হয়েছিল?
উত্তর: বিহারের ভাগলপুরের সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে।
১৮। রোকেয়া নারীদের জন্য কোন ধরণের জাগরণ সাধন করেন?
উত্তর: শিক্ষা ও সংস্কৃতির।
১৯। রোকেয়ার কর্মজীবনের প্রধান ক্ষেত্র কী ছিল?
উত্তর: নারী শিক্ষার উন্নয়ন ও সমাজ সংস্কার।
গল্প সম্পর্কে জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
২০। নিরীহ বাঙালি প্রবন্ধটি কে লিখেছেন?
উত্তর: রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন।
২১। রাজ্য স্থাপন করা অপেক্ষা কোন উপাধি লাভ করা সহজ?
উত্তর: ‘রাজা’ উপাধি লাভ করা সহজ।
২২। ‘বাঙালি’ শব্দে কী ধরনের ভাব প্রকাশ পায়?
উত্তর: সুমধুর, তরল, কোমল ভাব।
২৩। লেখিকার মতে বাঙালি কিসে গঠিত?
উত্তর: বিশ্বজগতের সৌন্দর্য ও স্নিগ্ধতা দিয়ে।
২৪। ভারতবর্ষকে যদি অট্টালিকা বলা হয়, বাঙালি কোন অংশ?
উত্তর: বৈঠকখানা ও সাজসজ্জা।
২৫। বাঙালিকে কী বলা হয়েছে?
উত্তর: মূর্তিমান কাব্য।
২৬। বাঙালির খাদ্য কেমন?
উত্তর: সরস, সুস্বাদু ও মধুর।
২৭। কোন খাদ্যগুলো বাঙালির প্রধান?
উত্তর: পুঁইশাক, সজিনা, পুঁটি মাছ, আম, কাঁঠাল।
২৮। নবনীতে কী গুণ আছে?
উত্তর: কোমলতা।
২৯। আমাদের খাদ্যদ্রব্যের গুণ কয়টি?
উত্তর: আমাদের খাদ্যদ্রব্যের গুণ তিনটি।
৩০। কারা অতিশয় সুকুমারী লতিকা?
উত্তর: বাঙালি ললনারা অতিশয় সুকুমারী লতিকা।
৩১। নবনী বাঙালির স্বভাবে কী প্রভাব ফেলে?
উত্তর: ভীরুতা বৃদ্ধি করে।
৩২। বাঙালির পোশাক কেমন?
উত্তর: সূক্ষ্ম শিমলার ধুতি ও চাদর।
৩৩। ‘হাওয়ার শাড়ি’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: অতি পাতলা ও সূক্ষ্ম শাড়ি।
৩৪। বাঙালি পুরুষ কী ধরণের পোশাক পরে?
উত্তর: ধুতি-চাদর ও প্রয়োজনে কোট-শার্ট।
৩৫। বাঙালি নারীরা কী ধরনের পোশাক পরে?
উত্তর: সূক্ষ্ম ও লজ্জাবতী নারীর উপযোগী শাড়ি।
৩৬। লেখিকা বাঙালির কেমন ব্যবসা বর্ণনা করেছেন?
উত্তর: অলস, নকল ও বিলাসদ্রব্যভিত্তিক।
৩৭। বাঙালি কী ধরনের পণ্য বেশি বিক্রি করে?
উত্তর: কেশতেল, কৃত্রিম গয়না, ঔষধ।
৩৮। ‘দীর্ঘকেশী’ তৈলের অনুকরণে কী তৈল তৈরি হয়?
উত্তর: হ্রস্বকেশী।
৩৯। লেখিকা কোন ব্যবসাকে বাঙালির অন্যতম বলেন?
উত্তর: পাস বিক্রয়।
৪০। পাস বিক্রেতাকে কী বলা হয়?
উত্তর: বর।
৪১। পাস ক্রেতাকে কী বলা হয়?
উত্তর: শ্বশুর।
৪২। এম.এ. পাসের মূল্য কত বলা হয়েছে?
উত্তর: অর্ধেক রাজত্ব ও এক রাজকুমারী।
৪৩। লেখিকা কেমন বিয়ের সমালোচনা করেন?
উত্তর: অলসদের পাস বিক্রি করে রাজকন্যা পাওয়ার বিয়ে।
৪৪। দীর্ঘকেশী তেল প্রস্তুত হলে তার অনুকরণে কী বের হয়?
উত্তর: দীর্ঘকেশী তেল প্রস্তুত হলে তার অনুকরণে হ্রস্বকেশী তেল বের হয়।
৪৫। বাঙালিরা কাদের কাছে ভিক্ষা করে?
উত্তর: বাঙালিরা আমেরিকানদের কাছে ভিক্ষা করে।
৪৬। বাঙালি কৃষির পরিবর্তে কী চায়?
উত্তর: মস্তিষ্ক উর্বর করা।
৪৭। পদ্যের অশ্রুজলের বন্যায় কী ডুবে যাচ্ছে?
উত্তর: পদ্যের অশ্রুজলের বন্যায় বঙ্গদেশ ডুবে যাচ্ছে।
৪৮। কৃষির পরিবর্তে কোন পাশকে গুরুত্ব দেওয়া হয়?
উত্তর: M.R.A.C পাশ।
৪৯। কৃষিক্ষেত্র পরিদর্শনের তুলনায় বাঙালি কী পছন্দ করে?
উত্তর: টানাপাখার তলে বসে দুর্ভিক্ষ রিপোর্ট পড়া।
৫০। বাঙালির অর্থনীতি কেমন?
উত্তর: অলসতা নির্ভর, সহজলভ্য অর্থ উপার্জনের দিকে ঝুঁকিপূর্ণ।
৫১। বাঙালির কোন উপাধি লাভ সহজ?
উত্তর: রাজা, খাঁ বাহাদুর, রায় বাহাদুর।
৫২। লেখিকা কোন বিষয়ে শোকসভা নিয়ে ব্যঙ্গ করেছেন?
উত্তর: বিদেশির মৃত্যুদুঃখে শোকসভা করা।
৫৩। স্বাস্থ্যের জন্য বাঙালির অভ্যাস কেমন?
উত্তর: অসচেতন, ঔষধ নির্ভর।
৫৪। মুখশ্রী সুন্দর করতে বাঙালির ভরসা কী?
উত্তর: কালিডর, মিল্ক অভ রোজ, ভিনোলিয়া পাউডার।
৫৫। প্রহারলাভের পর বাঙালির প্রতিক্রিয়া কী?
উত্তর: বাহুবলের পরিবর্তে মানহানির মামলা করে।
৫৬। লেখিকা বাঙালির কোন বৈশিষ্ট্যকে ‘মূর্তিমান’ বলেছেন?
উত্তর: আলস্য।
৫৭। গৃহিণীদের কোন বিষয়ে ব্যঙ্গ করা হয়েছে?
উত্তর: রন্ধন না করাকে কেন্দ্র করে।
৫৮। লেখিকা গৃহিণীদের কী বলেন?
উত্তর: দিব্যাঙ্গনা, লজ্জাবতী, কোমলাঙ্গী।
৫৯। গৃহিণীদের রান্নার জন্য উৎসাহ দেওয়া ব্যক্তির কী শাস্তি হওয়া উচিত?
উত্তর: দগ্ধ, জবেহ, ফাঁসি।
৬০। বাঙালির কবিতা লেখার প্রবণতা কেমন?
উত্তর: অতিমাত্রায়, আবেগপ্রবণ।
৬১। বাঙালির কবিতায় কোন রস বেশি?
উত্তর: করুণরস।
৬২। পদ্য লেখার সময় কী বাদ দেওয়া হয় না?
উত্তর: ভগ্ন শূর্প, জীর্ণ কাঁথা, পুরাতন চটি।
৬৩। বাঙালি কী রকম কবি?
উত্তর: সকলেই কবি।
৬৪। লেখিকাদের সংখ্যা কেমন?
উত্তর: লেখকদের চেয়ে বেশি।
৬৫। নতুন কী ধরনের শব্দ বাঙালি সৃষ্টি করে?
উত্তর: অতি শুভ্রনীলাম্বর, সাশ্রুসজলনয়ন।
৬৬। বাঙালি পুরুষদের তুলনায় নারীরা কেমন?
উত্তর: অধিক কোমল, লজ্জাবতী, অলসতায় অগ্রগামী।
৬৭। লেখিকার মতে বাঙালির সবচেয়ে বড় সমস্যা কী?
উত্তর: অলসতা ও কার্যবিমুখতা।
৬৮। লেখিকা বাঙালির শিক্ষাকে কেমন বলেন?
উত্তর: মুখস্থ নির্ভর ও ব্যবহারিকতাহীন।
৬৯। আমাদের প্রধান ব্যবসা কী?
উত্তর: আমাদের প্রধান ব্যবসা হলো বাণিজ্য।
৭০। বাণিজ্যে কী আবশ্যক?
উত্তর: বাণিজ্যে কঠিন পরিশ্রম আবশ্যক।
৭১। “Famine Report” অর্থ কী?
উত্তর: “Famine Report” অর্থ দুর্ভিক্ষ সমাচার।
৭২। Old fool দ্বারা কাকে সম্বোধন করা হয়েছে?
উত্তর: Old fool দ্বারা শ্বশুরকে সম্বোধন করা হয়েছে।
শব্দার্থ সম্পর্কে জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
৭৩। ‘সৌকুমার্য’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: সৌন্দর্য।
৭৪। ‘ঝঞ্ঝাবাতে’ শব্দটি কী বোঝায়?
উত্তর: ঝঞ্ঝার বাতাসে।
৭৫। ‘কুন্তলীন’ ও ‘কেশলীন’ কী?
উত্তর: লেখকের আমলে জনপ্রিয় চুলে দেয়ার তেলের নাম।
৭৬। ‘হাওয়ার শাড়ি’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: সূক্ষ্ম সুতোর পাতলা শাড়ি।
৭৭। ‘তণ্ডুল’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: চাল।
৭৮। ‘কালিডর’, ‘মিল্ক অভ রোজ’ ও ‘ভিনোলিয়া পাউডার’ কী ধরনের বস্তু?
উত্তর: সৌন্দর্যবর্ধক সামগ্রী।
৭৯। ‘দিব্যাঙ্গনা’ কাদের বোঝাতে ব্যবহৃত হয়?
উত্তর: স্বর্গের রূপসী নারীদের (হুরপরি) বোঝাতে।
৮০। ‘শুভ্রনীলাম্বর’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: পরিষ্কার নীল আকাশ।
৮১। ‘সাশ্রুসজলনয়ন’ মানে কী?
উত্তর: জলভরা চোখ।
৮২। ‘আত্মপ্রশংসা’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: নিজের প্রশংসা।