Skip to content

জীবন বিনিময় কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

জীবন বিনিময় কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

জীবন বিনিময় কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

কবি সম্পর্কে

১। ‘জীবন বিনিময়’ কবিতাটি কোন কাব্য থেকে সংকলিত হয়েছে?
উত্তর: ‘জীবন বিনিময়’ কবিতাটি গোলাম মোস্তফার বুলবুলিস্তান কাব্য থেকে সংকলিত হয়েছে।

২। গোলাম মোস্তফা কখন জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: ১৮৯৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন।

৩। গোলাম মোস্তফা কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: যশোর জেলার শৈলকুপা থানার মনোহরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

৪। গোলাম মোস্তফা কোথায় থেকে বি.এ. পাস করেন?
উত্তর: কলকাতার রিপন কলেজ থেকে।

৫। গোলাম মোস্তফা কর্মজীবনে কোন পদে নিয়োজিত ছিলেন?
উত্তর: বিভিন্ন সরকারি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক।

৬। কাব্যচর্চায় গোলাম মোস্তফা কোন ঐতিহ্য থেকে প্রেরণা পেয়েছিলেন?
উত্তর: ইসলামি ঐতিহ্য থেকে।

৭। গোলাম মোস্তফা কবে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: ১৯৬৪ সালে।

কবিতা সম্পর্কে

৮। কার চোখে ঘুম নেই?
উত্তর: বাদশা বাবরের।

৯। বাদশা বাবরের পুত্রের নাম কী?
উত্তর: হুমায়ুন।

১০। বাদশা বাবর কেন কাঁদছিলেন?
উত্তর: মনে হচ্ছিল তার পুত্র বাঁচবে না।

১১। বাদশার চারিপাশে কী ছিল?
উত্তর: মরণ-অন্ধকার।

১২। বাদশার পুত্রের রোগ নিরাময়ের জন্য কারা এসেছিলেন?
উত্তর: হেকিম, কবিরাজ ও দরবেশ।

১৩। বাদশা বাবরের চোখে ঘুম নেই কেন?
উত্তর: ছেলের অসুস্থতার জন্য বাদশা বাবরের চোখে ঘুম নেই।

১৪। বাদশা কীভাবে ভিষকবৃন্দকে ডেকেছিলেন?
উত্তর: ব্যগ্রকণ্ঠে ।

১৫। ভেষজদের নীরবতা কী প্রকাশ করেছিল?
উত্তর: তাদের নিষ্ঠুরতা।

১৬। কবিতায় এক দরবেশ কী পরামর্শ দিলেন?
উত্তর: সর্বোৎকৃষ্ট ধন দান করতে পারলে হুমায়ুনকে বাঁচানো যাবে।

১৭। হুমায়ুনের চারদিকে কী ঘনিয়ে আসছে?
উত্তর: হুমায়ুনের চারদিকে মরণ-অন্ধকার ঘনিয়ে আসছে।

১৮। বাদশার শ্রেষ্ঠ ধন কী ছিল?
উত্তর: নিজের প্রাণ।

১৯। বাদশা কোথায় বসে গভীর ধ্যানে ছিলেন?
উত্তর: গৃহতলে।

২০। দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কার জীবনপ্রদীপ নিভে আসছিল?
উত্তর: দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হুমায়ুনের জীবন প্রদীপ নিভে আসছিল।

২১। বাদশা কাকে সম্বোধন করে প্রার্থনা করলেন?
উত্তর: দয়ালু খোদা ও রহিম রহমানকে।

২২। বাদশা কী চাইলেন তার প্রার্থনায়?
উত্তর: তার প্রাণ নিয়ে পুত্রের প্রাণ বাঁচিয়ে দিতে।

২৩। ঘর কেমন ছিল প্রার্থনার সময়?
উত্তর: স্তব্ধ ও নীরব।

২৪। রজনী কেমন ছিল?
উত্তর: গভীর, সুপ্তি-মগ্ন ও নিখিল বিশ্বরাণী।

২৫। আকাশ ও বাতাসে কী ধ্বনিত হচ্ছিল?
উত্তর: গোপন কানাকানি।

২৬। বাদশা কাকে ঘিরে ঘুরতে লাগলেন?
উত্তর: পুত্রের চারিপাশে।

২৭। বাদশার হৃদয় কী রকম ছিল?
উত্তর: আশার দৃপ্ত জয়োল্লাসে ভরা।

২৮। কবিতায় ‘তিমির রাতের তোরণে তোরণে’ কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: অন্ধকার রাতের মাঝে নতুন সূর্যের আগমন।

২৯। বাদশার মৃত্যু কীভাবে বর্ণিত হয়েছে?
উত্তর: পিতৃস্নেহের কাছে মরণের পরাজয় হয়েছে।

৩০। কবিতায় ‘কোরবানি’ বলতে কী বোঝানো?
উত্তর: জীবন বা শ্রেষ্ঠ ধন ত্যাগ করা।

৩১। বাদশার শেষ প্রার্থনার বিষয় কী ছিল?
উত্তর: নিজের প্রাণ দিয়ে পুত্রের জীবন বাঁচানো।

৩২। বাদশা বাবর চিকিৎসকদের কীভাবে জিজ্ঞাসা করেন?
উত্তর: বাদশা বাবর চিকিৎসকদের ব্যগ্রকণ্ঠে জিজ্ঞাসা করেন।

৩৩। বাদশা বাবর ভিষকবৃন্দকে ডেকে কী বলেন?
উত্তর: বাদশা বাবর ভিষকবৃন্দকে ডেকে তাঁর পুত্রের রোগমুক্তির ব্যাপারে সত্য কথা বলতে বলেন।

৩৪। বাদশা আল্লাহর কাছে কী প্রার্থনা করলেন?
উত্তর: বাদশা আল্লাহর কাছে নিজের প্রাণের বিনিময়ে সন্তানের প্রাণ প্রার্থনা করলেন।

৩৫। আকাশে বাতাসে কী হচ্ছিল?
উত্তর: আকাশে বাতাসে গোপন কানাকানি হচ্ছিল।

৩৬। বাদশা বাবর হঠাৎ চিৎকার করে কী বলেন?
উত্তর: বাদশা বাবর হঠাৎ চিৎকার করে বলেন আল্লাহ আমার প্রার্থনা কবুল করেছেন।

৩৭। কীসের কাছে মরণ পরাজয় স্বীকার করে?
উত্তর: পিতৃস্নেহের কাছে মরণ পরাজয় স্বীকার করে।

৩৮। হৃষ্টচিত্তে বাবর কী গ্রহণ করেছিল?
উত্তর: হৃষ্টচিত্তে বাবর মরণের শয্যা গ্রহণ করেছিল।

শব্দার্থ সম্পর্কে

৩৯। ‘বিনিময়’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: বদল।

৪০। ‘নিদ’ শব্দের মানে কী?
উত্তর: ঘুম।

৪১। ‘ভিষকবৃন্দ’ বলতে কারা বোঝানো হয়?
উত্তর: চিকিৎসকগণ।

৪২। ‘বাদশাজাদা’ কার প্রতি ব্যবহৃত হয়েছে?
উত্তর: সম্রাটের পুত্র, এখানে হুমায়ুন।

৪৩। ‘শেলসম’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: তীক্ষ্ণ অস্ত্রের মতো।

৪৪। ‘শঙ্কা’ শব্দের মানে কী?
উত্তর: ভয়।

৪৫। ‘অন্তরবি’ কী বোঝায়?
উত্তর: অস্তগামী সূর্য।

৪৬। ‘দৃপ্ত’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: উদ্ধত, উদ্দীপিত।

৪৭। ‘সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ধন’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: প্রত্যেক মানুষের কাছে নিজের জীবনই শ্রেষ্ঠ ধন।

৪৮। ‘ধ্যেয়ানে’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ধ্যানে, মনোযোগে।

৪৯। ‘সুপ্তিমগ্ন’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ঘুমে অচেতন।

৫০। ‘ফুকারি’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: চিৎকার করে।

৫১। ‘কবুল’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: স্বীকার বা গৃহীত।

৫২। ‘তিমির রাতের তোরণে উষার পূর্বাভাস’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: ভোরের আগমন, আঁধার রাতের অবসান।

৫৩। কবিতায় ‘তিমির রাত’ ও ‘উষার পূর্বাভাস’ কী নির্দেশ করে?
উত্তর: হুমায়ুনের মুমূর্ষু অবস্থা ও রোগমুক্তির লক্ষণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *