একুশের গল্প অনুধাবন প্রশ্ন
১. তপু ফিরে আসায় সবাই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিল কেন?
উত্তর: তপুর ফিরে আসাটা স্বাভাবিক ছিল না বলে সবাই উদবিগ্ন হয়ে পড়েছিল।
চার বছর আগে হাইকোর্টের সামনে মিলিটারিদের গুলিতে মারা যাওয়া তপুকে কেউ আর দেখবে বলে কল্পনাও করেনি। তাকে ফিরে পাবে সে কথা তার বন্ধুরা ভুলেও ভাবেনি। কিন্তু সেই তপু যখন আবার ফিরে আসে তা সবাইকে অবাক করে। তার এই অস্বাভাবিক আকস্মিক ফিরে আসায় সবাই কেমন যেন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিল।
২. ‘অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে থাকে ওরা।’- উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ভাষা আন্দোলনের মিছিলে গিয়ে শহিদ হওয়া তপুর কঙ্কাল দেখে দেখতে আসা লোকজন অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। তপু, গল্পকথক ও রাহাত ছিল মেডিকেল কলেজের ছাত্র। তারা একসঙ্গে হোস্টেলে থাকত। প্রাণবন্ত, উদ্দাম ও চঞ্চল তপু সবসময় সবাইকে গল্পে মাতিয়ে রাখত। সেই তপু ১৯৫২ সালের রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে মিছিলে গিয়ে শহিদ হয়। তপুর কঙ্কাল মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে চার বছর পর শরীরবিদ্যা পড়ার সময় আবিষ্কার হয়। এ খবর পেয়ে অনেক লোকজন দেখতে এসে কঙ্কালের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে।
৩. ‘কে বলবে যে এ তপু।’- উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: চার বছর পর ফিরে আসা তপুর সাথে আগের তপুর বৈসাদৃশ্য ইঙ্গিত করে লেখক উল্লিখিত উক্তির অবতারণা করেছেন। চার বছর আগে তপু ছিল টগবগে, প্রাণচঞ্চল এক যুবক। গল্পে আর হাস্যরসে সবাইকে সর্বদা মাতিয়ে রাখত সে। সে তপু এখন নীরব, নিথর এক কঙ্কাল। মাতৃভাষার জন্য নিজের জীবন বিলিয়ে দেয় তপু। মিলিটারিরা প্রমাণ নিশ্চিত করতে তপুর লাশও তুলে নিয়ে যায়। তার চার বছর পর তপু আবিষ্কৃত হয় কঙ্কালরূপে। তাই আগের চেহারা ও স্বভাবের সাথে এই তপুর কোনো মিল পাওয়া যায় না।
৪. ‘চেনার কোনো উপায় থাকলে তো চিনবে।’- উক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: কঙ্কাল দেখে মানুষ চেনা যায় না বোঝাতে তপু প্রসঙ্গে প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করা হয়েছে।
তপু ছিল মেডিকেলের ছাত্র। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে শহিদ হয়। পরিবারের পিছুটান উপেক্ষা করে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলা ভাষার অধিকার আদায়ের আন্দোলনে যুক্ত হয় তপু। ভাষা আন্দোলনের মিছিলে অংশ নিলে কপালে গুলিবিদ্ধ হয়ে সে শহিদ হয়। ছত্রভঙ্গ মিছিলের সামনে থেকে মিলিটারিরা তুলে নিয়ে যায় তার মৃতদেহ। ঘটনার ধারাবাহিকতায় একদিন কলেজের হোস্টেলে আবিষ্কার হয় তপুর দেহের কঙ্কাল। তা দেখে রাহাতের মনে হয় এটা যে তপুর দেহ তা চেনার উপায় নেই। কেননা, কঙ্কাল দেখে রক্তমাংসের জীবিত মানুষকে শনাক্ত করা যায় না।
৫. ‘ওকে চেনাই যায় না।’- কেন চেনা যায় না? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: কঙ্কাল হিসেবে তপুকে ফেরত পাওয়ার পর তপুর জীবদ্দশা স্মরণ করে প্রশ্নোত্ত উক্তিটি করা হয়েছে।
তপুর মৃত্যুর চার বছর পরে তার সহপাঠীদের রুমে একজন নবাগত রুমমেট যে নরকঙ্কালটি নিয়ে আসে, সেটিকে সহপাঠীরা তপুর কঙ্কাল বলে সুনিশ্চিতভাবে শনাক্ত করে। এ ঘটনায় তপুর সহপাঠীরা যেমন অবাক হয় তেমনি তাদের চোখে বিস্ময়ও জাগে। কেননা, কঙ্কাল দেখে মানুষকে চেনা যায় না। মৃত্যুর মাধ্যমে শরীরের রক্ত-মাংস হারিয়ে শুধু কঙ্কাল হয়ে তপু ফিরে এসেছে বলে গল্পকথক প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করেছে।
৬. তপুর মা আর বউকে রাহাত খুঁজে পায়নি কেন?
উত্তর: তপুর মা মারা গেছেন আর বউ অন্য জায়গায় বিয়ে করায় ‘রাহাত তাদের কাউকেই খুঁজে পায়নি।
মৃত্যুর চার বছর পর তপু আবার কঙ্কালরূপে ফিরে আসে। তপুর ফিরে আসার এই খবর তার মা আর বউকে দেওয়ার জন্য গল্পকথক তাদের ঠিকানা জোগাড় করে। সারাদিন ঘুরে বিকালে ফিরে এসে তপুর বন্ধু রাহাত জানায় তাদের কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি। এর কারণ হিসেবে রাহাত জানায় তপুর মা মারা গেছেন, আর বউ অন্য জায়গায় বিয়ে করেছে। তাই রাহাত তপুর মা আর বউকে খুঁজে পায়নি।
৭. ‘বিয়ে করবে না তো কি সারা জীবন বিধবা হয়ে থাকবে নাকি, মেয়েটা।’- কথাটি কেন বলা হয়েছে?
উত্তর: তপুর স্ত্রী রেণু তপু মারা যাওয়ার পর অন্য জায়গায় বিয়ে করেছে- সেই প্রসঙ্গেই কথাটি বলা হয়েছে।
তপুর মৃত্যুর চার বছর পর কঙ্কাল রূপে তপুকে আবিষ্কার করে তার বন্ধুরা। তপুর এভাবে ফিরে আসার খবর’ তার স্ত্রীরেণুকে দিতে গেলে তাকে না পেয়ে ফিরে আসে রাহাত। ফিরে এসে বন্ধুদের জানায় রেণু অন্য জায়গায় বিয়ে করেছে। রেণুর বিয়ের খবরে তপুর বন্ধুদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। তাদের প্রতিক্রিয়ার প্রেক্ষিতে সানু বিড়বিড় করে চাপাস্বরে কথাটি বলে। অর্থাৎ রেণুর অন্য জায়গায় বিয়ে করার প্রসঙ্গেই কথাটি বলা হয়েছে।
৮. কার দিকে তাকাতে ভয়ে রক্ত হিম হয়ে আসে? কেন?
উত্তর: তপুর কঙ্কালের স্কালে ক্ষত দেখে গল্পকথকের রক্ত হিম হয়ে আসে।
তপু, রাহাত, গল্পকথক তিন বন্ধু। আমোদ-ফুর্তিতে কেটে যায় তাদের দিন। অকস্মাৎ পাকিস্তানি সরকার বাংলা ভাষাকে কেড়ে নিতে চাইলে বাঙালি আন্দোলনের ডাক দেয়। এ আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শহিদ হয় তপু। চার বছর পর তপুর কঙ্কাল কলেজের হোস্টেলে আবিষ্কার হয়। এ সময় দেখা যায় তপুর স্কালে একটি ফুটে যা আন্দোলনে লাগা গুলির চিহ্ন। এই স্কালের দিকে তাকালেই গল্পকথকের হৃদয়ে জাগে চার বছর পূর্বে তপুর সাথে কাটানো সময়ের বেদনা। তপুকে হারানোর বেদনাকে বোঝাতেই গল্পকথক বলেন আমার রক্ত যেন হিম হয়ে আসে।
৯. তপুকে ‘গল্পের রাজা’ বলা হয়েছে কেন?
উত্তর: তপু গল্প শুরু করলে আর থামত না তাই তপুকে ‘গল্পের রাজা’ বলা হয়েছে।
গল্পকথকের মতে, তপু ছিল সদা হাস্যোজ্জ্বল, প্রাণবন্ত ও প্রাণচঞ্চল এক যুবক। বন্ধুর মধ্যে বয়সে সবার ছোটো হলেও আলাদা একটা ব্যাপার তার মধ্যে ছিল। তপু যেমন হাসতে ভালোবাসত তেমনি গল্প করতেও ভালোবাসত। তপু তার বন্ধুদের সাথে গল্পে মেতে উঠত প্রায়ই। গল্পের বয়ানে ভিন্ন রকম পারদর্শিতা ছিল তপুর মধ্যে। তপু যখন গল্প বলা শুরু করত তখন আর কাউকে সে কথা বলার সুযোগ দিত না এবং তার গল্পের দ্বারা সবাইকে মাতিয়ে রাখতে পারত। তাই গল্পকথক তপুকে ‘গল্পের রাজা’ বলে উপস্থাপন করেছেন।
১০. ‘বিরক্তিতে না লজ্জায় লাল হয়ে উঠত সে।’- কার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: বেশি কথা বলার অভ্যাসের কারণে অনেক সময়ই রেণু লজ্জায় লাল হয়ে উঠত।
তপু ছিল বয়সে সকলের চেয়ে ছোটো এবং বিবাহিত। তপুর স্ত্রী রে যখন বন্ধুদের সাথে আসত ‘তপুর বন্ধুরা গল্পে মেতে উঠত। শুধু সাধারণত গল্প শুরু করলে আর থামতে চায় না। একদিন গল্প করতে করতে সময় গড়িয়ে যায়। রেণু তাকে গল্প থামাতে চেষ্টা করে কিন্তু সে থামে না। তপুর বন্ধু রাহাতও তপুকে থামিয়ে দিতে চেষ্টা করত বিবৃ থামত না তপু। তপুর এমন কাণ্ড দেখে রেণু লজ্জায় লাল হয়ে উঠত।
১১. তপু ডাক্তারি পাশ করে গ্রামে চলে যাওয়ার কথা ভেবেছিল কেন?
উত্তর: তপু গাঁয়ে গিয়ে ছোটো একটা ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখত বলে ডাক্তারি পাশ করে গাঁয়ে চলে যাওয়ার কথা ভেবেছিল।
একদিন বন্ধুদের সাথে গল্প করার সময় তপু নিজের স্বপ্নের কথা বলে তাদের। সে ভেবেছিল ডাক্তারি পাশ করতে পারলে আর শহরে থাকবে না। নিজের গাঁয়ে চলে যাবে। সেখানে এক্টা ছোটো ঘর বাঁধবে সেখানে। যে ঘরে কোনো জাঁকজমক থাকবে না। কেবল একটা ছোটো ডিসপেনসারি থাকবে। তাই সে গাঁয়ে চলে যাওয়ার কথা বলেছিল।
১২. সহপাঠী হিসেবে তপু কেমন ছিল?
উত্তর: তপু সহপাঠী হিসেবে ছিল অসাধারণ ও আন্তরিক।
তপু ছিল সদা হাস্যোজ্জ্বল, নিয়মানুবর্তী ও গল্পের রাজা। সহপাঠীদের সবসময় চমকপ্রদ গল্প বলে মাতিয়ে রাখত সে। ভোরে সবার আগে ঘুম থেকে উঠে সবাইকে জাগাত এবং সকালের মিষ্টি রোদ দেখার আহ্বান করত। নিজের হাতে চা তৈরি করে সহপাঠীদের খাওয়াত। বিকেলবেলা ঘুরতে বের হতো বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে। আকর্ষণীয় চরিত্র ও ভালোবাসা দিয়ে তপু বন্ধুদের উপর প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছিল।
১৩. ‘অনন্তকাল ধরে যদি এমনি চলতে পারতাম আমরা।’- ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: স্বপ্নবাজ তপু প্রশ্নোক্ত উক্তটি দ্বারা সময়ের সাথে সাথে কৈশোরের জীবন ও বন্ধুত্বের প্রবাহমানতা প্রত্যাশা করেছেন।
তপু একজন স্বপ্নবাজ তরুণ। জীবনে আঁকেবাঁকে অনেক কিছুই ঘটে যায়। বন্ধুদের সাথে আমোদফুর্তি, আড্ডা, গল্প ইত্যাদির মাধ্যমে সময় কেটে যায় তার। সুযোগ পেলেই বন্ধুদের সাথে ঘুরতে বেড়িয়ে যায় বুড়িগঙ্গার ওপার অথবা ইস্কাটন। যেদিন রেণু বন্ধুদের সাথে যেত সেদিন আজিমপুরের দিকের দূর গ্রামের রাস্তায় বিরামহীন হাঁটত সবাই। তপু হাঁটতে হাঁটতে নানা প্রসঙ্গের কথা বলা শুরু করত। মাঝে মাঝে ভবিষ্যৎ জীবনের কথা বলা কাব্যিক নিয়মে। তপু লালমাটির আঁকাবাঁকা পথে হাঁটতে হাঁটতে স্বপ্ন বুনে যদি তাদের এই বন্ধুত্ব টিকে যায় অনন্তকাল, বয়ে চলে সময়ের সাথে সাথে। তপুর মন্তব্যটির মধ্য দিয়ে এ বিষয়গুলোই ফুটে উঠেছে।
১৪. ‘কিন্তু ‘অকস্মাৎ ছেদ পড়লো।’- উক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: প্রাণোচ্ছল, বন্ধুবৎসল তপু ভাষা আন্দোলনে শহিদ হওয়ায় বন্ধুমহলের আনন্দেও দিনগুলোতে ছেদ পড়ার কথা বোঝানো হয়েছে উক্তিটি দ্বারা।
‘একুশের গল্প’ রচনায় গল্পকথক, তপু ও রাহাতের মেডিকেল কলেজের সুখের দিনগুলোতে হঠাৎ একদিন ছেদ পড়ে। কারণ ভোর থেকে হোস্টেলের সামনের সবুজ মাঠে অগুনতি লোকের ভিড় জমেছিল রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলা ভাষার অধিকার রক্ষার দাবিতে মিছিল বের করার জন্য। তপু ও তার বন্ধুরাও সে মিছিলে শামিল হয়। সেখানে মিলিটারির বুলেট তপুর জীবন কেড়ে নেয়। উক্তিটির মাধ্যমে এ বিষয়টিই বোঝানো হয়েছে।
১৫. সমুদ্রগভীর জনতা চলতে শুরু করেছে কেন?
উত্তর: ১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলনে যোগদানকারী বিক্ষুব্ধ জনতার স্রোতকে সমুদ্রগভীর জনতা বলা হয়েছে।
বাঙালির মুখের ভাষা বাংলায় কথা বলার অধিকার রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয় বাংলার মানুষ। ছেলে, বুড়ো, যুবক সবাই এ আন্দোলনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দেয়। আপামর জনসাধারণের অংশগ্রহণে ২১শে ফেব্রুয়ারির মিছিল হয়ে ওঠে সমুদ্রগভীর। আপামর জনতার সেই মিছিলের দৃপ্ত অগ্রযাত্রার কথা ধ্বনিত হয়েছে লেখকের এই উক্তির মধ্য দিয়ে।
১৬. ‘মুখটা ঘুরিয়ে রাহাতের দিকে ক্রুদ্ধ দৃষ্টিতে এক পলক তাকালো।’- ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: রেণু তার স্বামী তপুর বিপদ হতে পারে এই ভাবনা থেকে তপুকে মিছিল থেকে’ ফিরিয়ে নিতে চাইলে রাহাত বাধা দেয়, তাই রেণু ক্রোধান্বিত
হয়ে রাহাতের দিকে তাকায়।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তপুর সাথে তপুর বন্ধু রাহাতও ছিল।
রেণু বুঝতে পেরেছিল এ মিছিলে গেলে বিপদ আসন্ন। সে আতঙ্কিত হয়ে যখন তপুকে মিছিল থেকে ফিরিয়ে নিতে চাইল রাহাত তখন রেগে বলল, ‘বাড়ি যেতে হয় আপনি যান ও যাবে না।’ এই কথা শুনে দিশাহারা রেণুর সমস্ত ক্রোধ রাহাতের উপর এসে জমা হয়, যার ফলে রেণুর ওই ক্রোধান্বিত দৃষ্টিপাত।
১৭. ‘দোহাই তোমার বাড়ি চলো।’- কোন প্রসঙ্গে বলা হয়েছে?
উত্তর: তপুকে মিছিলে যেতে না দিয়ে বাড়িতে ফেরানোর চেষ্টা প্রসঙ্গে রেণু প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করেছে।
বাঙালির মুখের ভাষা বাংলা কেড়ে নিতে চায় পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী তার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করে আপামর জনতা। মিছিলে অংশ নিতে উদ্ধত হয় তপুসহ তার সঙ্গীরা। কিন্তু রেণু বারবার বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। রেণু ভয়ে তপুকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাইলেও রাহাত ও তার বন্ধুরা তাকে মিছিলে অংশগ্রহণ করতে বলে। রেণু শত চেষ্টায় তপুকে ফেরাতে না পেরে রাহাতের দিকে ক্রুদ্ধ হয় এবং মায়ের কান্নার কথা বলে কাঁদো গলায় অনুরোধ করে তপুকে বলে ‘দোহাই তোমার বাড়ি চলো।’