Skip to content

উমর ফারুক কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

উমর ফারুক কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

উমর ফারুক কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

কবি সম্পর্কে জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

১। কাজী নজরুল ইসলাম কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে।

২। কাজী নজরুল ইসলামের কত সালে জন্ম হয়?
উত্তর: ১১ই জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ বঙ্গাব্দ (২৪শে মে ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দ)।

৩। কাজী নজরুল ইসলাম ছেলেবেলায় কোন সংগীতে যোগ দেন?
উত্তর: লেটো গানের দলে।

৪। কাজী নজরুল ইসলাম কোন হাই স্কুলে পড়াশোনা করেছেন?
উত্তর: বর্ধমান ও ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানার দরিরামপুর হাই স্কুলে।

৫। কাজী নজরুল ইসলাম কবে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন?
উত্তর: ১৯১৭ সালে।

৬। কাজী নজরুল ইসলাম সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে কোথায় যান?
উত্তর: করাচিতে।

৭। কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্য জীবনের সূচনা কোথায় হয়?
উত্তর: করাচিতে।

৮। কাজী নজরুল ইসলামকে কি নামে ডাকা হয়?
উত্তর: বিদ্রোহী কবি।

৯। কত বছর বয়সে তিনি দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হন?
উত্তর: ৪৩ বছর বয়সে।

১০। রোগের কারণে তিনি কী হারান?
উত্তর: বাকশক্তি।

১১। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর কাজী নজরুল ইসলামকে কোথায় আনা হয়?
উত্তর: ঢাকায়।

১২। বাংলাদেশ সরকার তাকে কী প্রদান করে?
উত্তর: বাংলাদেশের নাগরিকত্ব।

১৩। বাংলাদেশের কোন মর্যাদা প্রদান করা হয় তাকে?
উত্তর: জাতীয় কবির মর্যাদা।

১৪। কাজী নজরুল ইসলাম কখন মারা যান?
উত্তর: ২৯শে আগস্ট ১৯৭৬ সালে।

কবিতা সম্পর্কে জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

১৫। ‘তিমির রাত্রি’ বলতে কী বুঝানো হয়েছে?
উত্তর: অন্ধকার রাত।

১৬। ‘এশা’ কী?
উত্তর: রাতে পড়ার নামাজ।

১৭। ‘আমির-উল-মুমেনিন’ কী অর্থ?
উত্তর: বিশ্বাসীদের নেতা, মুসলিম শাসক।

১৮। কবিতায় ‘তোমার স্মৃতি যে আজানের ধ্বনি জানে না মুয়াজ্জিন’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: আজানের সঙ্গে উমর (রা)-এর স্মৃতি অনেকে জানে না।

১৯। ‘তকবির’ কী?
উত্তর: আল্লাহর গুণগান।

২০। ‘মরুর শশী’ কী?
উত্তর: মরুভূমির চাঁদ।

২১। ‘আজান’ কী?
উত্তর: নামাজের ডাক।

২২। উমরকে ‘ফারুক’ কেন বলা হয়?
উত্তর: তিনি সত্য ও মিথ্যার পার্থক্যকারী।

২৩। কবিতায় ‘জ্যোতি তার আজ দিনে দিনে বিমলিন’ অর্থ কী?
উত্তর: সত্যের আলো দিন দিন ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে।

২৪। ‘জোনাকির আলো ক্ষীণ’ বলতে কী বোঝানো?
উত্তর: দুর্বল আলোর মতো সত্যের আলোর অবনতি।

২৫। ‘মুহম্মদের চরণে যে-শমশের’ অর্থ কী?
উত্তর: নবীর পদচিহ্নে ত্যাগকারী বা যোদ্ধা।

২৬। ‘ফিরদৌস ছাড়ি নেমে এস’ থেকে কী বুঝায়?
উত্তর: স্বর্গ ত্যাগ করে পৃথিবীতে এসেছেন।

২৭। ‘পরশ-মানিক’ কী?
উত্তর: স্পর্শের মাধ্যমে সোনা হয়ে যাওয়া রত্ন।

২৮। ‘অর্ধ পৃথিবী করেছ শাসন’ অর্থ কী?
উত্তর: উমর (রা.) ইসলামি সাম্রাজ্যের বিস্তার ঘটিয়েছেন।

২৯। ‘তখত’ কী?
উত্তর: সিংহাসন।

৩০। ‘সাইমুম ঝড়’ কী?
উত্তর: মরুভূমির প্রচণ্ড শুষ্ক ও উত্তপ্ত বাতাস।

৩১। ‘জেরুজালেমের কিল্লা’ কী?
উত্তর: প্রাচীন শহর জেরুজালেমের দুর্গ।

৩২। উমর (রা.) একাকী কোথায় চলেছেন?
উত্তর: সাহারা মরুভূমি পার হয়ে।

৩৩। উমরের সঙ্গে কতজন ভৃত্য ছিল?
উত্তর: একজন ভৃত্য।

৩৪। ‘তপ্ত বালুতে চলি যে চরণে রক্ত উঠেছে ফুটে’ অর্থ কী?
উত্তর: কঠোর পরিশ্রমের কারণে পায়ের পাতা রক্তাক্ত হয়েছে।

৩৫। উমর কেন উটের পিঠে আর ভৃত্য রশি ধরে হাঁটছেন?
উত্তর: নিজের কঠোর পরিশ্রম ও বিনয় প্রদর্শনের জন্য।

৩৬। উমর কাকে ‘তোমাদের প্রতিনিধি’ বলেছেন?
উত্তর: মানুষকে।

৩৭। উমর কী বলেছেন মানুষের প্রতি তাঁর অধিকার সম্পর্কে?
উত্তর: তিনি অধিকারী নন, মানুষের সেবক।

৩৮। ‘ইসলাম বলে, সকলে সমান’ কী বোঝায়?
উত্তর: সবাই মানুষের সমান অধিকার ও মর্যাদা রাখে।

৩৯। উমর কেন মানুষের কাছে বিনম্র ছিলেন?
উত্তর: কারণ তিনি সত্যনিষ্ঠ ও ন্যায়পরায়ণ।

৪০। ‘মানুষেরে স্বর্গে তুলিয়া ধরিয়া’ অর্থ কী?
উত্তর: মানুষের মর্যাদা উঁচু করা।

৪১। ‘জানি না, সেদিন আকাশে পুষ্প বৃষ্টি হইল কিনা’ কেন বলা হয়েছে?
উত্তর: উমরের মৃত্যুদিনের মহিমা ও গৌরব বোঝাতে।

৪২। উমর কাকে ভয় করতেন না?
উত্তর: একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কারও ভয় পেতেন না।

৪৩। কেন উমরকে ‘সত্যব্রত’ বলা হয়?
উত্তর: তিনি সত্যের পথে অবিচল ছিলেন।

৪৪। উমর কেন খালেদকে সেনা প্রধান পাঠিয়েছিলেন?
উত্তর: যুদ্ধ পরিচালনার জন্য।

৪৫। উমরের মায়ের কাছে ক্ষুধার্ত শিশুর কষ্ট কীভাবে প্রকাশ পেয়েছে?
উত্তর: মা কাঁদছিলো শিশুকে ভুলাতে গিয়ে।

৪৬। উমর কী করেছিলেন ক্ষুধার্ত মায়েদের জন্য?
উত্তর: বায়তুল-মাল থেকে ঘৃত আটা দিয়ে সাহায্য করেছিলেন।

৪৭। আবু শাহমা কে ছিলেন?
উত্তর: উমরের পুত্র।

৪৮। আবু শাহমার প্রতি উমরের শাস্তি কেমন ছিল?
উত্তর: মদ্যপানের অপরাধে কঠোর শাস্তি দিয়েছিলেন।

শব্দার্থ সম্পর্কে জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

৪৯। তাপের অর্থ কী?
উত্তর: উত্তাপ।

৫০। হস্ত শব্দের মানে কী?
উত্তর: হাত।

৫১। পেরেসান শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: বিপর্যস্ত, ক্লান্ত।

৫২। আমির উল-মুমেনিন কী বোঝায়?
উত্তর: বিশ্বাসীদের নেতা, এখানে মুসলমানদের ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় নেতা হজরত উমর (রা) কে বোঝানো হয়েছে।

৫৩। মুয়াজ্জিন কারা?
উত্তর: যিনি আজান দেন।

৫৪। তকবির শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘আল্লাহ’ ধ্বনি বা রব।

৫৫। আখেরি শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: শেষ।

৫৬। পরশমণি কী?
উত্তর: স্পর্শমণি, যার ছোঁয়ায় লোহাও সোনা হয়।

৫৭। তখত কী বোঝায়?
উত্তর: সিংহাসন।

৫৮। সাইমুম কী?
উত্তর: শুকনো উত্তপ্ত শ্বাসরোধকারী প্রবল মরুভূমির হাওয়া।

৫৯। মশক কী?
উত্তর: পানি বহনের চামড়ার থলে।

৬০। দোরী কী?
উত্তর: চাবুক।

৬১। চীর কী?
উত্তর: ছিন্ন-ভিন্ন বস্ত্র।

৬২। পিরান কী?
উত্তর: জামা।

৬৩। নান্দী কী?
উত্তর: স্তুতি, কাব্যপাঠ বা নাটকের শুরুতে মঙ্গলসূচক প্রশংসা।

৬৪। শমসের কী?
উত্তর: তরবারি।

৬৫। দস্ত কী?
উত্তর: হাত।

৬৬। উমর ফারুক কে ছিলেন?
উত্তর: ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা, যিনি ন্যায়নিষ্ঠ, নির্ভীক ও গণতন্ত্রমনা ছিলেন।

৬৭। উমর ফারুকের শাসনামলে ইসলামি রাষ্ট্রের সীমা কোথা থেকে কোথা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছিল?
উত্তর: আরব সাম্রাজ্য থেকে মিশর ও তুর্কিস্তানের সীমা পর্যন্ত।

৬৮। ‘ফারুক’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: যে সত্য ও মিথ্যার মধ্যে পার্থক্য করতে পারে।

৬৯। উমর (রা.) কে কী উপাধি দিয়ে সম্বোধন করা হয়?
উত্তর: ফারুক।

৭০। হজরত উমরের ইসলাম গ্রহণের পূর্বে আজান দেয়ার রীতি কেমন ছিল?
উত্তর: প্রকাশ্যে আজান দেয়ার রীতি ছিল না।

৭১। কেন মুসলমানরা প্রকাশ্যে আজান দিতে সাহস পেত না?
উত্তর: কোরেশদের ভয়ের কারণে।

৭২। হজরত উমর ইসলাম গ্রহণ করলে কী পরিবর্তন ঘটলো?
উত্তর: তিনি ইসলাম গ্রহণের পর প্রকাশ্যে আজান দেয়ার সাহস পেলেন।

৭৩। আজানের সঙ্গে উমরের স্মৃতি কেন মুয়াজ্জিনরা জানে না?
উত্তর: কারণ আজানের রীতি ইসলাম গ্রহণের আগে ছিল না, তাই স্মৃতি অনেক মুয়াজ্জিন জানেন না।

৭৪। জেরুজালেম কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: ফিলিস্তিনের একটি প্রাচীন শহর।

৭৫। আবু শাহমা কে ছিলেন?
উত্তর: হজরত উমরের পুত্র।

৭৬। আবু শাহমার বিরুদ্ধে কী অপরাধ ছিল?
উত্তর: মদপান।

৭৭। আবু শাহমাকে কী শাস্তি দেওয়া হয়েছিল?
উত্তর: ৮০টি বেত্রাঘাতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

৭৮। বেত্রাঘাতের পর আবু শাহমার কী হলো?
উত্তর: তার মৃত্যু হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *