Skip to content

উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন প্রবন্ধের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন প্রবন্ধের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

লেখক সম্পর্কে প্রশ্ন

১। ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধটি কোন গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?
উত্তর: ‘যুগবাণী’ প্রবন্ধগ্রন্থ থেকে।

২। ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধটি কোন সংস্করণ থেকে পাঠ্যভুক্ত করা হয়েছে?
উত্তর: বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত নজরুল রচনাবলি (জন্মশতবর্ষ সংস্করণ, প্রথম খণ্ড) থেকে।

৩। ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে নজরুলের কোন মানসিকতার প্রকাশ ঘটেছে?
উত্তর: সাম্যবাদী মানসিকতার।

৪। কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম তারিখ কী?
উত্তর: ১১ই জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ বঙ্গাব্দ / ২৪শে মে ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দ।

৫। নজরুল কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: চুরুলিয়া গ্রামে, পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমায়।

৬। নজরুলের ছেলেবেলায় তিনি কোন গানের দলে যোগ দেন?
উত্তর: লেটো গানের দলে।

৭। নজরুল কোথায় লেখাপড়া করেন?
উত্তর: বর্ধমান ও ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানার দরিরামপুর হাই স্কুলে।

৮। নজরুল কবে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন?
উত্তর: ১৯১৭ সালে।

৯। সেনাবাহিনীতে তিনি কোন পল্টনে ছিলেন?
উত্তর: বাঙালি পল্টনে।

১০। সেনাবাহিনীর কাজে তিনি কোথায় যান?
উত্তর: করাচি।

১১। নজরুলের সাহিত্যজীবনের সূচনা কোথায় হয়?
উত্তর: করাচিতে।

১২। নজরুলকে কী নামে ডাকা হয়?
উত্তর: বিদ্রোহী কবি।

১৩। নজরুলের কবিতায় কোন ভাষার শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে?
উত্তর: আরবি ও ফারসি।

১৪। নজরুল কত বছর বয়সে দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হন?
উত্তর: তেতাল্লিশ বছর বয়সে।

১৫। রোগের ফলে নজরুল কী হারিয়ে ফেলেন?
উত্তর: বাকশক্তি।

১৬। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর নজরুলকে কোথায় আনা হয়?
উত্তর: ঢাকায়।

১৭। বাংলাদেশে নজরুলকে কী মর্যাদা দেওয়া হয়?
উত্তর: জাতীয় কবির মর্যাদা।

১৮। নজরুলের মৃত্যুর তারিখ কী?
উত্তর: ২৯শে আগস্ট ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দ।

১৯। নজরুল কোথায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন?
উত্তর: ঢাকার পি.জি. হাসপাতালে (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়)।

২০। নজরুল কোথায় সমাহিত হন?
উত্তর: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মসজিদ-সংলগ্ন প্রাঙ্গণে।

২১। ‘অগ্নিবীণা’ কী ধরনের রচনা?
উত্তর: কাব্যগ্রন্থ।

২২। ‘ব্যথার দান’ কী ধরনের রচনা?
উত্তর: গল্পগ্রন্থ।

প্রবন্ধ সম্পর্কে প্রশ্ন

২৩। ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধটি কে লিখেছেন?
উত্তর: কাজী নজরুল ইসলাম।

২৪। লেখকের মতে দেশের দশ আনা শক্তি কার উপর নির্ভর করে?
উত্তর: তথাকথিত ‘ছোটোলোক’ সম্প্রদায়ের উপর।

২৫। ‘ছোটোলোক’ কথাটি কে প্রচলন করেছেন?
উত্তর: সমাজের আভিজাত্য-গর্বিত ভদ্রসম্প্রদায়।

২৬। ‘ছোটোলোক’-এর অন্তর কেমন?
উত্তর: কাচের মতো স্বচ্ছ, সরল ও উদার।

২৭। ‘ছোটোলোক’রা কার্য করতে পারে না কেন?
উত্তর: ভদ্রসম্প্রদায়ের অত্যাচারের কারণে।

২৮। ‘ছোটোলোক’রা নিজেদের কেমন মনে করে?
উত্তর: তারা নিজেদের ছোটো ও তুচ্ছ মনে করে।

২৯। ভদ্রসমাজ বিদ্রোহকারীদের সঙ্গে কেমন আচরণ করে?
উত্তর: প্রচণ্ড আঘাত করে তাদের অজ্ঞান করে ফেলে।

৩০। আমাদের জাতি এত অধঃপতনে কেন পড়েছে?
উত্তর: আমরা উপেক্ষিত শক্তিকে অবহেলা করে চলেছি বলেই।

৩১। দেশের প্রকৃত শক্তি কারা?
উত্তর: দেশের সাধারণ মানুষ তথা তথাকথিত ‘ছোটোলোক’রা।

৩২। গণতন্ত্র গঠিত হচ্ছে না কেন?
উত্তর: দেশের সব শ্রেণির মানুষকে সমান গুরুত্ব না দেওয়ার জন্য।

৩৩। দেশের উন্নতির জন্য কী দরকার?
উত্তর: সকল শ্রেণির মানুষের ঐক্য ও সম্মান।

৩৪। জাতি কী দিয়ে গঠিত?
উত্তর: ব্যক্তির সমষ্টি দিয়ে।

৩৫। আভিজাত্য-গর্বিত ভদ্র সম্প্রদায়ের শক্তি কেমন?
উত্তর: তারা কথা বলতে পারে কিন্তু কাজ করতে পারে না।

৩৬। উন্নতির জন্য কী করতে হবে?
উত্তর: জনশক্তিকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

৩৭। ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে কোন মহাপুরুষের দৃষ্টান্ত দেওয়া হয়েছে?
উত্তর: মহাত্মা গান্ধীর।

৩৮। গান্ধীজি সাধারণ মানুষদের সঙ্গে কেমন ছিলেন?
উত্তর: তাঁদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে সুখ-দুঃখ ভাগ করে নিয়েছেন।

৩৯। গান্ধীজির ডাকে মানুষ কেন সাড়া দিয়েছে?
উত্তর: তিনি সবাইকে ভালোবেসে ভাই বলে কাছে টেনেছেন বলে।

৪০। গান্ধীজি সমাজভেদ ভাঙতে পেরেছেন কীভাবে?
উত্তর: হৃদয়ের বিশালতা ও আত্মত্যাগ দিয়ে।

৪১। ‘ছোটোলোক’দের বুকে ধরে ডাকলে কী হবে?
উত্তর: দেশে যুগান্তর আসবে।

৪২। ‘ছোটোলোক’দের অবহেলা করা কী ধরনের কাজ?
উত্তর: অমানবিক এবং আত্মার ধর্ম বিরুদ্ধ।

৪৩। লেখকের মতে ‘ছোটোলোক’দের আত্মা কেমন?
উত্তর: বড়লোকদের আত্মার মতোই ভাস্বর।

৪৪। ‘চণ্ডাল বংশ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: সমাজে অবহেলিত, নিম্ন শ্রেণির মানুষদের।

৪৫। লেখকের মতে কল্পনা করলে কী অনুভব হবে?
উত্তর: অবহেলিতদের কষ্ট ও বেদনা বোঝা যাবে।

৪৬। সমাজে বৈষম্য কিসের মাধ্যমে দূর করা সম্ভব?
উত্তর: সমতা, ভালোবাসা ও সম্মানের মাধ্যমে।

৪৭। লেখক উপেক্ষিত শক্তিকে কী বলে মনে করেন?
উত্তর: দেশের সত্যিকার শক্তি।

৪৮। সমাজভেদ দূর না হলে কী হবে না?
উত্তর: জাতীয় উন্নতি সম্ভব হবে না।

৪৯। লেখকের ভাষায়, ‘তাহাদের প্রাণে তোমার প্রাণ সংযোগ করো’ – অর্থ কী?
উত্তর: আত্মিক মিলন ও হৃদয়ের সংযোগ ঘটানো।

৫০। ‘বিশ্ব তোমাকে নমস্কার করিবে’ – কখন?
উত্তর: যখন তুমি অবহেলিতদের আপন করে নেবে।

৫১। ‘বোধন-বাঁশিতে সুর দিই’ – এর অর্থ কী?
উত্তর: নতুন যুগের আহ্বান জানানো।

৫২। লেখকের মতে দুঃখ, দৈন্য, লজ্জা ইত্যাদি কীসের ফল?
উত্তর: অবজ্ঞা ও অবহেলার মনোভাবের।

৫৩। লেখকের দৃষ্টিতে ‘সত্যিকার মানুষ’ কারা?
উত্তর: সমাজের উপেক্ষিত শ্রেণির সাধারণ মানুষ।

৫৪। জনশক্তির কী প্রয়োজন?
উত্তর: উদ্দীপনা, সম্মান ও নেতৃত্ব।

শব্দার্থ নিয়ে প্রশ্ন

৫৫। ‘চণ্ডাল’ কাকে বলা হয়?
উত্তর: চণ্ডাল বা চাড়াল হলো হিন্দু বর্ণব্যবস্থায় নিম্নবর্গের লোক।

৫৬। ‘বোধন-বাঁশি’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: বোধ জাগিয়ে তোলার বাঁশি।

৫৭। ‘দৈন্য’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: দারিদ্র্য বা দীনতা।

৫৮। হিন্দু বর্ণব্যবস্থায় নিম্নবর্গের লোককে কি বলে?
উত্তর: হিন্দু বর্ণব্যবস্থায় নিম্নবর্গের লোককে চণ্ডাল’ বলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *