Table of Contents
৯ম শ্রেণির আম আঁটির ভেঁপু গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
লেখক সম্পর্কে জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
১। ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ কোন উপন্যাসের অংশ?
উত্তর: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথের পাঁচালী উপন্যাসের অংশ।
২। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম সাল কত?
উত্তর: ১৮৯৪ সালে।
৩। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: ২৪ পরগনার মুরারিপুর গ্রামে।
৪। তিনি কোন স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন?
উত্তর: স্থানীয় বনগ্রাম স্কুল থেকে।
৫। কবে তিনি ম্যাট্রিক পাস করেন?
উত্তর: ১৯১৪ সালে।
৬। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় কোন কলেজ থেকে আই.এ. ও বি.এ. ডিগ্রি অর্জন করেন?
উত্তর: কলকাতার রিপন কলেজ থেকে।
৭। তাঁর পেশা কী ছিল?
উত্তর: শিক্ষকতা।
৮। তিনি কোথায় কোথায় শিক্ষকতা করেন?
উত্তর: হুগলী, কলকাতা ও ব্যারাকপুরের বিভিন্ন স্কুলে।
৯। বিভূতিভূষণ কোন বিষয়ের প্রতি বিশেষ আগ্রহ দেখিয়েছেন তাঁর সাহিত্যে?
উত্তর: প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও গ্রামবাংলার সাধারণ মানুষের জীবন।
১০। তিনি বাংলা সাহিত্যে কীভাবে অমর হয়ে আছেন?
উত্তর: গ্রামবাংলার সহজ-সরল জীবনচিত্রের অসাধারণ উপস্থাপনার জন্য।
১১। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম উপন্যাসের নাম কী?
উত্তর: পথের পাঁচালী।
১২। ‘পথের পাঁচালী’ উপন্যাসে কোন দুটি চরিত্র বেশি উল্লেখযোগ্য?
উত্তর: অপু ও দুর্গা।
১৩। ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে কাদের জীবনচিত্র ফুটে ওঠে?
উত্তর: গ্রামবাংলার দরিদ্র শিশু অপু ও তার বোন দুর্গার।
১৪। বিভূতিভূষণের সাহিত্যে কোন শ্রেণির মানুষের প্রতিচ্ছবি পাওয়া যায়?
উত্তর: গ্রামীণ সাধারণ মানুষের।
১৫। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় কখন মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: ১লা সেপ্টেম্বর, ১৯৫০ সালে।
গল্প সম্পর্কে জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
১৬। ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ শীর্ষক গল্পটির রচয়িতা কে?
উত্তর: ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ শীর্ষক গল্পটির রচয়িতা বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৭। অবহেলায় পড়ে থাকা অপুর কাঠের ঘোড়াটিকে কার সাথে তুলনা করা হয়েছে?
উত্তর: পিজরাপোলের আসামির সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
১৮। অপুর খেলার সাথী ছিল কী?
উত্তর: অপুর খেলার সাথী ছিল তার একটি ছোটো টিনের বাক্স এবং তাতে রাখা খেলনা ও জিনিসপত্র।
১৯। অপুর দিদির নাম কী?
উত্তর: অপুর দিদির নাম দুর্গা।
২০। নীলমণি রায় কে?
উত্তর: নীলমণি রায় হরিহর রায়ের জ্ঞাতি-ভ্রাতা।
২১। দুর্গা নিরীহমুখে বাড়ির মধ্যে ঢুকল কেন?
উত্তর: দুর্গা মায়ের ডাক শুনে নিরীহমুখে বাড়ির মধ্যে ঢুকল।
২২। টিনের বাক্সে অপুর কোন খেলনাগুলি ছিল?
উত্তর: কাঠের ঘোড়া, টিনের বাঁশি, পিস্তল, কড়ি, শুকনো নাটাফল, খাপরার কুচি।
২৩। কড়িগুলি সে কোথা থেকে নিয়েছিল?
উত্তর: লক্ষ্মীপূজার কড়ির চুপড়ি থেকে মায়ের অজ্ঞাতে খুলে নিয়েছিল।
২৪। কার বাড়িতে হরিহর কাজ করে?
উত্তর: হরিহর গ্রামের অন্নদা রায়ের বাড়িতে কাজ করে।
২৫। দুর্গা কে ছিল?
উত্তর: দুর্গা ছিল অপুর বড় বোন।
২৬। দুর্গার বয়স কত?
উত্তর: দশ থেকে এগারো বছর।
২৭। দুর্গা অপুর কাছে কী আনতে বলে?
উত্তর: তেল ও নুন।
২৮। দুর্গা তেল ও নুন দিয়ে কী করতে চায়?
উত্তর: আমের কুসি জারাতে চায়।
২৯। দুর্গা আম কোথা থেকে পায়?
উত্তর: পটলিদের বাগানে সিঁদুর কৌটার নিচে।
৩০। দুর্গা অপুর হাতে কী দেয়?
উত্তর: জারানো আমের টুকরো।
৩১। দুর্গা খালি মালা কোথায় ছুঁড়ে ফেলে?
উত্তর: ভেরেণ্ডাকচার বেড়া পার করে নীলমণি রায়ের ভিটার দিকে।
৩২। অপুর মা কে ছিলেন?
উত্তর: সর্বজয়া।
৩৩। সর্বজয়া কী কাজ করতে গিয়ে ব্যথা পায়?
উত্তর: ক্ষার কাঁচতে গিয়ে।
৩৪। সর্বজয়া কী রান্না করছিল?
উত্তর: শসা কাটছিল এবং পরে চালভাজা দেয়।
৩৫। অপুর টোল-খাওয়া টিনের ভেঁপু বাঁশিটির দাম কত?
উত্তর: অপুর টোল্-খাওয়া টিনের ভেঁপু-বাঁশিটির দাম চার পয়সা।
৩৬। অপুর পিঠে কে কিল দিল?
উত্তর: অপুর পিঠে দুর্গা কিল দিল।
৩৭। অপু কেন মুখ বাঁকায়?
উত্তর: আম খাওয়ার পর দাঁত টকটক করছিল বলে।
৩৮। দুর্গা অপুকে কী বলে গালি দেয়?
উত্তর: লক্ষ্মীছাড়া বাঁদর।
৩৯। দুর্গা কেন অপুকে কিল মারে?
উত্তর: অপু বলে আম খেয়ে দাঁত টকে গেছে।
৪০। হরিহর কে ছিলেন?
উত্তর: অপুর বাবা।
৪১। “রোসো রোসো একটুখানি হাঁফ জিরোতে দাও।” – উক্তিটি কার?
উত্তর: উক্তিটি অপু ও দুর্গার মা সর্বজয়ার।
৪২। হরিহর রায়ের জ্ঞাতি ভ্রাতার নাম কী?
উত্তর: হরিহর রায়ের জ্ঞাতি ভ্রাতার নাম নীলমণি রায়।
৪৩। হরিহর কোথায় কাজ করতেন?
উত্তর: গ্রামের অন্নদা রায়ের বাড়িতে গোমস্তার কাজ করতেন।
৪৪। হরিহর কাকে নিয়ে গল্প করে?
উত্তর: এক সদগোপ সম্পদশালী ব্যক্তিকে নিয়ে।
৪৫। হরিহরের প্রস্তাব কী ছিল?
উত্তর: গাঁয়ে গিয়ে পুজো-মন্ত্র দিয়ে বাস করতে পারে।
৪৬। সর্বজয়া কেন রাজি হয়?
উত্তর: অভাব ও দেনার চাপে।
৪৭। রাধা বস্টমের বৌ কী করে?
উত্তর: প্রতিদিন টাকা চায়।
৪৮। দুর্গা কেন রোদে দাঁড়িয়ে থাকে?
উত্তর: মা-বাবার সামনে দিয়ে ঢোকার সাহস হয় না।
৪৯। দুর্গা রড়া ফলের বিচি কোথায় রেখেছিল?
উত্তর: দুর্গা রড়া ফলের বিচি আঁচলের খুঁটে রেখেছিল।
৫০। হরিহরের পুত্র কোথায় বসে খেলা করছিল?
উত্তর: হরিহরের পুত্র রোয়াকে বসে খেলা করছিল।
৫১। দুর্গা কোথায় বসে যায়?
উত্তর: কাঁঠালগাছের নিচে।
৫২। দুর্গার আঁচলে কী বাঁধা ছিল?
উত্তর: রড়া ফলের বিচি।
৫৩। দুর্গা কেন বিচি গুনছিল?
উত্তর: কিছু অপুর জন্য, কিছু পুতুলের বাক্সে রাখবে বলে।
৫৪। দুর্গা কীভাবে খেলা করে?
উত্তর: বিচি ছুঁড়ে দিয়ে হাতের পিঠে ধরে।
৫৫। দুর্গা বিচি নিয়ে কোথায় চলে যায়?
উত্তর: খুশিতে বাইরে চলে যায়।
৫৬। দুর্গার মুখ কেমন হয়েছিল?
উত্তর: রৌদ্রে বেড়িয়ে মুখ লাল হয়ে উঠেছিল।
৫৭। কেন তারা হরিহরকে মন্ত্র দিতে বলেছিল?
উত্তর: হরিহরের বাবাকে শ্রদ্ধা করত বলে।
৫৮। সর্বজয়া কী নিয়ে উদ্বিগ্ন?
উত্তর: সংসারের অভাব, ঋণ ও সন্তানদের অভাব।
৫৯। দুর্গার মুখে কী লেগে ছিল?
উত্তর: নুনের গুঁড়ো।
৬০। সর্বজয়া কোথায় টাকা ধার করে?
উত্তর: সেজ ঠাকুরুনের কাছ থেকে।
৬১। হরিহর কেন সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয় না?
উত্তর: ছোটলোক ভাববে বলে।
৬২। সর্বজয়া চালভাজা চায় কেন?
উত্তর: বাড়িতে আর কিছু নেই, ক্ষুধা মেটাতে।
৬৩। অপু তেলের মালায় কী করে?
উত্তর: তেল নিয়ে আসতে মালায় ঢেলে নেয়।
৬৪। দুর্গা আমের সঙ্গে কী দিতে চায়?
উত্তর: একটি লঙ্কা।
৬৫। অপু লঙ্কা আনতে রাজি হয় না কেন?
উত্তর: তক্তায় থাকে, সে নাগাল পায় না।
৬৬। সর্বজয়া দুধ দোয়ার সময় কাকে ডাকেন?
উত্তর: দুর্গাকে।
৬৭। দুর্গা কোন গাছের আম বেশি ভালো বলে?
উত্তর: পটলিদের কাকুড়তলার আম।
৬৮। হরিহর কীভাবে সর্বজয়াকে অভয় দেয়?
উত্তর: মজুমদারের সঙ্গে আলোচনা করে দেখবে বলে।
৬৯। রোয়াকের অবস্থা কেমন ছিল?
উত্তর: ভাঙা, ফাটলে বনবিছুটি ও কালমেঘ গজিয়েছিল।
৭০। দরজা জানালার কপাটের কী অবস্থা?
উত্তর: ভাঙা ও নারকেলের দড়ি দিয়ে বাঁধা।
৭১। দুর্গা ঘরে ঢুকতে চায় কেন?
উত্তর: একটু ঘুমানোর জন্য।
৭২। দুর্গা ঘরে ঢোকে না কেন?
উত্তর: মা-বাবার সামনে দিয়ে ঢোকার সাহস হয় না।
৭৩। দুর্গা কিভাবে ঘরে ঢোকার চেষ্টা করে?
উত্তর: বাইরে থেকে উঁকি দিয়ে দেখে, কিন্তু ঢোকে না।
৭৪। আজকাল লক্ষ্মী কোথায় বাঁধা পড়েছে?
উত্তর: আজকাল চাষাদের ঘরে লক্ষ্মী বাঁধা পড়েছে।
৭৫। হরিহর কাজ সেরে কখন বাড়ি ফিরল?
উত্তর: হরিহর কাজ সেরে দুপুরের কিছু পর বাড়ি ফিরল।
শব্দার্থ সম্পর্কে জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
৭৬। ভেরেন্ডাকচার বেড়া কী?
উত্তর: ভেরেন্ডাকচার বেড়া হলো এরন্ড বা রেড়ি গাছের বেড়া।
৭৭। ‘রোয়াক’ কী বোঝায়?
উত্তর: ঘরের সামনের খোলা জায়গা বা বারান্দা।
৭৮। ‘চুপড়ি’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: ছোটো ঝুড়ি বা ক্ষুদ্র ধামা।
৭৯। ‘নাটাফল’ কী ধরনের ফল?
উত্তর: করঙ্গা ফল।
৮০। ‘খাপরার কুচি’ কী?
উত্তর: কলসি বা হাঁড়ির ভাঙা অংশ বা টুকরা।
৮১। ‘পিজরাপোলের আসামি’ কী?
উত্তর: খাঁচায় পড়ে থাকা অবহেলিত আসামির মতো ব্যক্তি।
৮২। ‘দাওয়া’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: বারান্দা।
৮৩। ‘আমের কুসি’ কী বোঝায়?
উত্তর: কচি আম।
৮৪। ‘জারা’ শব্দের মানে কী?
উত্তর: জীর্ণ করা বা কুচি কুচি করা।
৮৫। ‘বন-বিছুটি’ কী?
উত্তর: এক প্রকার বুনো গাছ।
৮৬। ‘কালমেঘ’ কী?
উত্তর: যকৃতের রোগে উপকারী একপ্রকার তিক্ত স্বাদের গাছ।
৮৭। ‘গরাদ’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: জানালার শিক।
৮৮। ‘ভেরেণ্ডাকচার বেড়া’ কী দিয়ে তৈরি?
উত্তর: এরন্ড বা রেড়ি গাছের বেড়া দিয়ে।
৮৯। ‘রোসো রোসো’ কথার অর্থ কী?
উত্তর: থাম থাম।